ওয়াশিংটন: কে হারাবে করোনা মহামারীকে? আর তা নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা৷ সেই দৌড়ে বেশ খানিকটা এগিয়েছে চিন ও আমেরিকা৷ করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই টিকা আবিষ্কারের দাবি জানিয়েছে মার্কিন পিটসবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের৷ আরও একটি মার্কিন সংস্থার দাবি, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই তারা করোনা টিকা প্রথম মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের করবে৷ মার্কিন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপান দাবি করছে, তারাও করোনার চিটা তৈরি করে ফেলেছে৷ এবার সেই প্রতিযোগিতায় যুক্ত হচ্ছে আরও একটি নাম৷
করোনা যখন গোটা বিশ্বে চোখ রাঙাচ্ছে, ঠিক তখন চাঞ্চল্যকর দাবি জানিয়ে বসল আন্তর্জাতিক প্রস্তুতকারক সংস্থা৷ আগামী মে মাসের মধ্যেই করোনা প্রতিষেধক বাজারে আনার দাবি জানানো হয়েছে ওই সংস্থার তরফে৷ আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই হতে চলেছে মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ৷ ওই প্রয়োগের পর আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই হবে এই প্রতিষেধক বাজারে আসতে পারে৷ পরীক্ষামূলক ভাবে ইতিমধ্যেই পশুর উপর ওই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে৷ তাতে সাফল্য মিলেছে বলে দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক প্রস্তুতকারক সংস্থা৷
ওই সংস্থার দাবি, তাদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক মানব দেহের উপর সফলভাবে কাজ শেষ করার পর অতি দ্রুত তা বাজারে নিয়ে আসা হবে৷ বাজারে ওষুধ আনার আগে প্রয়োজনীয় যে সমস্ত ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়, তার দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছে ওই সংস্থা৷ তবে মানব দেহের ওপর সেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হয় কিনা সেটাই এখন প্রথম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সংস্থার৷
অন্যদিকে, করোনা রুখতে ভ্যাকসিন আবিষ্কার দাবি জানিয়েছে পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিন৷ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবির সপক্ষের জানানো হয়েছে, ইঁদুরের ওপর প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে সাফল্য এসেছে৷ ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷ ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি করার দাবি জানানো হয়েছে মার্কিন পিটসবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের তরফে৷ ইতিমধ্যে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়াও দাবি জানানো হয়েছে৷ মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগ বিভাগের অনুমোদনের পেলেই মানুষের উপর তা প্রয়োজ করা হবে বলে খবর৷
ইউরোপের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা প্রতিষেধক বাজারে নিয়ে আসতে তারা চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে৷ আগামী বছরের শুরুতেই এই টিকা বাজারে চলে আসবে বলেও জানানো হয়েছে৷ জাপানের তরফে দাবি করা হয়েছে, করোনা রুখতে তারা ফ্লু-রোধী ড্রাগ নিয়ে আসছে৷ এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েও চলছে গবেষণা৷ করোনা রুখতে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকর লড়াইয়ে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ৷ ইউরোপের ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনা রুখে দেওয়া টিকা পেতে বড়জোড় হলে আর একবছর অপেক্ষা করতে হবে৷ টিকার প্রথম পর্বের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ টিকা তৈরির অভিজ্ঞতা থেকে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথ মিলছে বলেও দাবি ওই সংস্থার৷
