কলকাতা: ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অন্যান্য ফান্ডে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা৷ এই মর্মে অর্থ রাজ্য অর্থ দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ চলতি অর্থবর্ষে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই হারেই সুদ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা৷
কোন ফান্ডে এই সুদ দেওয়া হবে-
* জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিস)৷
* কনট্রিবিউটারি প্রভিডেন্ট ফান্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল)৷
* ওয়েস্ট বেঙ্গল নন-গভর্নমেন্ট এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড লোকার অথরিটিস (সিপিএফই) আইন, ১৯৮৩ –র অধীনে থাকা প্রভিডেন্ট ফান্ড৷
* সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত স্টেট অ্যাকাউন্টের অধীনে থাকা যে কোনও প্রভিডেন্ট ফান্ড৷
এর আগে পর পর দু’বার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার কমিয়েছে রাজ্য অর্থ দফতর৷ গত ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত জিপিএফে সুদের হার ছিল ৭.৯ শতাংশ৷ ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের অধীনে সমস্ত প্রভিডেন্ট অ্যাকাউন্ট খাতে বছরে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ ধার্য করা হয়৷ এদিন জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একই সুদের হার বজায় রাখা হল৷
গত ২২ জানুরায়ি বিজ্ঞপ্তি (No.464-F(J)-W.B) জারি করে শেষ ত্রৈমাসিকে সুদের হার ঘোষণা করা হয়৷ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জিপিএফে সুদের হার পরিবর্তন হয়৷ সেক্ষেত্রে গত বছর জিপিএফে সুদের হার ছিল ৮ শতাংশের কাছাকাছি৷ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের হারে জিপিএফের সুদ পান রাজ্য কর্মীরা৷
রাজ্য সরকারি কর্মীদের মূল বেতনের ৬ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে জিপিএফে রাখতে হয়৷ বেতন থেকে টাকা কেটে এই তহবিলে জমা করা হয়৷ তবে সরকারি কর্মীরা চাইলে মূল বেতনের পুরোটাও জিপিএফ তহবিলে রাখতে পারেন৷ অন্য সঞ্চয় প্রকল্পের তুলনায় সুদের হার বেশি হওয়ার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী বাধ্যতামূলক ৬ শতাংশের বেশি জিপিএফ তহবিলে জমা দেন৷
জিপিএফের সুবিধা শুধু সরকারি কর্মীরা পেয়ে থাকেন৷ বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মীদের বেতন থেকে নির্দিষ্ট অংশ কেটে ইপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয় এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফে৷ কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে ২০ জনের বেশি কর্মী থাকলে ইপিএফওর আওতায় পড়ে৷ মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা বেতন পেলে ইপিএফের মতো সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা পান ওই কর্মী৷ ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ এক হাজার টাকা৷
আরও পড়ুন- পেট তো নয়, যেন ‘জয়ঢাক’! ১৯ কেজির পেট নিয়ে নাজেহাল এই মহিলা
আরও পড়ুন- বন দফতরে অস্থায়ী চাকরির লাইনে প্রার্থীদের ভিড়! অনলাইনে কেন নয় আদেবন? উঠছে প্রশ্ন