কলকাতা: করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও হাসপাতালে ঠাঁই মেলেনি। বাড়িতেই বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিলেন এক বৃদ্ধা। বাড়িতেই মৃত্যু হল তাঁর। এখানেই শেষ নয়, মৃত্যুর পরেও তাঁর দেহ দাহ করতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে পরিবারের সদস্যদের। বৃহস্পতিবার ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হলেও শুক্রবার দুপুর একটা নাগাদ তাঁর দাহ সম্পন্ন হয়। এর মাঝে কেটে গিয়েছে ১৯ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: রাজ্যে প্রবীণদের দেখভালের জন্য খোলা হবে হেল্পলাইন, বার্তা মমতার
বিধাননগর পুরসভার অন্তর্গত কেষ্টপুরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা ঊষারানি দেবী। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরেই করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করা হয়। বুধবার করোনা রিপোর্ট আসার পর কলকাতার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোথাও শয্যা পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে ঊষারানি দেবীর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসার নামে রোগীর থেকে অর্থ লুট? নয়া অ্যাডভাইসরি রাজ্যের
৭৯ বছরের বৃদ্ধার পরিবারের অভিযোগ, এর পরে নতুন করে হয়রানি শুরু হয়। থানা, পুলিশ, কাউন্সিলর সকলকে ফোন করা হলেও কোনও সক্রিয় এবং সদর্থক ভূমিকা দেখতে পাওয়া যায়নি। সারা রাত ঘরেই পড়েছিল করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধার দেহ। শুক্রবার সকাল থেকে স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতা দেখা দেয়। দুপুর ১টা নাগাদ দেহ নিয়ে রওয়ানা দেন সৎকারের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।