কলকাতা: কাজের চাপে নিজের সন্তানের যত্ন নিতে পারছিলেন না৷ তাই উপাযাচক হয়ে বন্ধু তাঁর কাছে রাখার পরামর্শ দেন সন্তানকে৷ কিন্তু সেই বন্ধু এবার সন্তানকে ফেরত দিতে করলেন অস্বীকার৷ উল্টে সন্তান ফেরাতে ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে বসলেন উপাযাচক বন্ধু৷ এতো টাকা পাবেন কোথায় মা? বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন মা৷
আরও পড়ুন- এবার বাংলায় হবে ‘গোবর-শিল্প’! ৫ কোটির ব্যবসা করবে কেন্দ্র
জানা গিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। রোজ অশান্তি। একটু শান্তির আশায় ঘর ছাড়েন তিনি। এক বন্ধুর পরামর্শে তিনি কলকাতা আসেন। ওই বন্ধু তাঁকে বার বার বলতে থাকেন, পরিচারিকার কাজ খুঁজে দেবেন। কিন্তু ওই বন্ধু পরিচারিকার কাজ দেননি৷ পেটের তাগিদে বাধ্য হয়ে তিনি দেহ ব্যবসায় নামেন তিনি৷
কিন্তু প্রথম দিকে একরত্তি শিশুকে নিয়ে অসুবিধা দেখা দেয়৷ কলকাতায় তো কেউ নেই। তিনি রাখবেন কোথায়। বাধ্য হয়ে আয়া রাখেন। এক সময় ওই বন্ধু বলেন, আয়া রাখার কোনও দরকার নেই। তিনি ওই মহিলার মেয়েকে রাখবেন। বিনিময়ের আয়ার টাকা যেন তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্বাস করেন তিনি। ওই মহিলা ভাবেন, আয়ার থেকে বন্ধুর পরিবারের কাছে মেয়ে যত্নে থাকবে।
আরও পড়ুন- ‘আমার পরিবার বিজেপি পরিবার’, রাজ্যে সদস্যসংখ্যা বাড়াতে নয়া উদ্যোগ বিজেপির
বেশ চলছিস এইভাবে। কিন্তু গোল বাঁধল মেয়েকে যখন তিনি দেখতে চাইলেন। মেয়েকে ভিডিও কলে দেখার সুযোগ পেলেও মেয়ের কাছে যেতে দিতেন না ওই বন্ধু৷ আরও টাকা পাঠানোর চাপ দিতে থাকেন৷ এরপর মহিলা মেয়েকে নিজের কাছে এনে রাখতে চান৷ কিন্তু তাতেও বন্ধুটি বেঁকে বসেন৷ চার লক্ষ টাকা বন্ধু দাবি করেন সন্তানকে ফেরত দেওয়ার জন্য৷ এরপর সন্তান না পেয়ে লালবাজারে দ্বারস্থ হন মা৷ পাশাপাশি, ডিসি নর্থ এবং রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাকেও চিঠি দেন৷ ঘটনার কথা জানতে পেরে তৎপর হন মন্ত্রী৷ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার দ্রুত তদন্ত হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে৷