কলকাতা: ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লাল কেল্লা থেকে ‘এক দেশ এক স্বাস্থ্য’ পরিষেবা চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ স্বাধীনতা দিবসেই উদ্বোধন করলেন ‘জাতীয় ডিজিটাল হেলথ মিশন’৷ কিন্তু আজ থেকে তিন বছর আগে ‘জাতীয় ডিজিটাল হেলথ মিশন’-এর প্রথম নীল নকশা এঁকেছিলেন এক বাঙালি চিকিৎসক৷ এই পরিকল্পনা তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত৷
আরও পড়ুন- ‘LOC থেকে LAC, শত্রুদের তাদের ভাষাতেই জবাব দিয়েছে ভারত’, কড়া বার্তা নমোর
তিন বছর আগে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার কাছে ‘ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ মিশন’- এর আইডিয়া এবং ফ্রেমওয়ার্ক পেশ করেছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক অঙ্কোলজিস্ট ইন্দ্রনীল খাঁ৷ এদিন লাল কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘এক দেশ এক হেলথ কার্ড’ চালু করার পরই নিজের ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানান ইন্দ্রনীলবাবু৷ বর্তমানে ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি৷ ইন্দ্রনীলবাবু বলেন, ‘‘এই প্রকল্পটি অবশেষ দিনের আলো দেখায় আমি খুবই আনন্দিত৷’’
আরও পড়ুন- শিক্ষানীতি: ‘শিকড়ের সঙ্গে জুড়েই বিশ্ব নাগরিক হয়ে উঠবে শিক্ষার্থীরা’, বললেন মোদী
এই প্রকল্পে দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য রেকর্ড ডিজিটাল ফর্ম্যাটে রাখা হবে৷ এক দেশ এক হেলথ কার্ড ব্যবস্থায় একজন ব্যক্তির সম্পূর্ণ মেডিক্যাল রেকর্ড নথিভুক্ত করা হবে৷ তিনি যে সমস্ত চিকিৎসা এবং পরীক্ষা করিয়েছেন তা এই কার্ডে ডিজিটালি সংরক্ষিত করা হবে৷ এই প্রকল্পে প্রত্যেক নাগরিককে একটি করে হেলথ কার্ড তৈরি করতে হবে৷ যাবতীয় টেস্ট এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট কার্ডের নম্বরে সংরক্ষিত থাকবে৷ একটি সেন্ট্রাল সার্ভারের সঙ্গে হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং চিকিৎসকদের যুক্ত করা হবে৷ যাঁদের কাছে এই কার্ড থাকবে তাঁদের একটি ইউনিক আইডি পাবেন৷ এই আইডি নম্বর দিয়েই তাঁরা এই সিস্টেমে লগইন করতে পারবেন৷
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসে আত্মনির্ভর ভারতের শপথ নমোর
এর সবথেকে বড় সুবিধে এটাই হবে যে দেশের যে কোনও প্রান্তে যে কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে রোগীকে আর তাঁর সঙ্গে অতীতের পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট বয়ে নিয়ে যেতে হবে না৷ কারণ তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওই কার্ডেই সংরক্ষিত থাকবে৷