চুঁচুড়া: স্বাধীনতা দিবসের পুণ্যলগ্নে ‘খুন-সংঘর্ষে’র রাজনীতিতে জড়াল তৃণমূল ও বিজেপি৷ ঘটনার জেরে রণক্ষেত্র হুগলির খানাকুল৷ পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে শাসকদের কর্মীরা বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করেছে, অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের৷ অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের৷ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল খানাকুল বনধের ডাক ডাক দিয়েছে বিজেপি৷ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির৷ এলাকায় মোতায়ন বিশাল পুলিশবাহিনী৷ রয়েছে উত্তেজনা৷
জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি মধ্যে সংঘর্ষ বাধে৷ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপির তরফে৷ অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকদের লাঠির আঘাতে প্রথমে গুরুতর জখম হন বিজেপি কর্মী৷ পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর৷ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ শুরু হয় তাণ্ডব৷ এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে বিজেপি৷ এলাকায় আশঙ্কার জেরে ইতিমধ্যে আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে এই খুন হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের৷ খুনের ঘটনার প্রতিবাদ করে আগামীকাল ১২ ঘণ্টার খানাকুল বনধ ডেকেছে বিজেপি৷ খুনের প্রতিবাদে আজ সড়ক অবরোধ করা হয়েছে এলাকা অবরুদ্ধ করে দেয় বিজেপি৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নেমেছে বিশাল পুলিশবাহিনী৷ সংঘর্ষের প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের কর্মী পতাকা উত্তোলন করতে গিয়েছিল৷ তার মধ্যে একজন কর্মীকে ওখানে টিএমসির গুন্ডারা খুন করেছে৷ এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা৷ স্বাধীনতা দিবসেও তৃণমূল খুনের রাজনীতি, হিংসা থেকে মুক্ত দিচ্ছে না৷’’
পাল্টা তৃণমূলের পক্ষে জানানো হয়েছে, খানাকুলে যে খুন হয়েছে, এই খুন বিজেপির নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য, বিশৃংখলা করার জন্য ঘটিয়েছে৷ বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে বিজিবি কর্মীকে খুন হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে৷
তৃণমূল ও বিজেপি তরফে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খানাকুলের সাধারণ বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, স্বাধীনতা দিবসের দিনেও কি একটু শান্তিতে থাকতে পারবেন না তাঁরা? দিনের পর দিন অশান্তি, খুনের রাজনীতি কেন? স্বাধীনতা দিবসেও কেন তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ? এটা কি এক দিনের জন্য এড়ানো যেত না? প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দাদের একাংশ৷