‘নিখোঁজ’ দেবশ্রী! বিধায়ককে নিয়ে জেরবার তৃণমূল, বিধায়ক ডুমুরের ফুল? প্রশ্ন জনতার

‘নিখোঁজ’ দেবশ্রী! বিধায়ককে নিয়ে জেরবার তৃণমূল, বিধায়ক ডুমুরের ফুল? প্রশ্ন জনতার

2a60274e33970c79d0b79ec25487ef47

রায়দিঘি: তিনি একদা ছিলেন কানন-ঘনিষ্ঠ৷ কাননের টানা জোড়া ফুল ছেড়ে সটান পদ্ম-শিবিরের সদর দফতরে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু, মুখের উপর কানন দিয়েছিলেন ফিরিয়ে৷ বাধ্য হয়ে বাংলার ঘাসফুলে ফিরতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ বেশ কিছুদিন ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে৷ পরে ফিরেছিলেন পুরানো ঘাসফুল শিবিরে৷ সে তো নয়, লোকসভা নির্বাচনের আগের সময়৷ এরমধ্যে গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়ে কিন্তু, তারপর? রায়দিঘিতে বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের দীর্ঘ গরহাজিরা নিয়ে এবার তৃণমূলের অন্ধরে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি৷

অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান ধ্বংসলীলার চালিয়ে যাওয়ার প্রায় ৩ মাস পর দেখা মেলেনি বিধায়ককে৷ কেন এলাকায় দেখা পাওয়া যাচ্ছে না অভিনেত্রী বিধায়ককে? তিনি কি নিখোঁজ? স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে ধেয়ে আসছে বাসিন্দাদের হরেক প্রশ্নবাণ৷ বিধায়কের অনুপস্থিতির ফাঁক পূরণ করতে জনসংযোগ কর্মসূচি নেওয়া হলেও তাতে সাড়া মিলছে না৷ উল্লে প্রশ্ন উঠছে, এত বড় ঝড়ের পরও কেন বিধায়কের দেখা মিলছে না? ভোটারদের প্রতি তাঁর কি কোনও দায়-দায়িত্ব নেই? নাকি সাধারণ ভোটের বিনিময়ে বিধায়ক ভাতা তুলছেন? স্থানীয়দের এহেন প্রশ্নের মুখে পড়ে জেরবার তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব৷

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১ ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে পরাজিত করে তৃণমূলের বিধায়ক হন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়৷ নির্বাচনের পর কিছু দিন তাঁকে দেখা পেয়েছিল স্থানীয়রা৷ কিন্তু, তারপর থেকে নিখোঁজ৷ হয়নি উন্নয়ন৷ বিধায়ক না থাকায় কে বিধায়কের এলাকা দেখবে, তা নিয়েও তৃণমূলের দুই পক্ষ বিবাদ রয়েছে৷ একদিকে দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব, অন্যদিকে বিধায়ক নিখোঁজ, স্থানীয়দের প্রশ্ন, ত্রিফলা চাপে রায়দিঘির দিঘিতে ঢুবতে পারে ঘাসঘুল৷ আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন আদি তৃণমূলীরাও৷

কেননা, ইতিমধ্যেই বিধায়কের নামে উঠেছে একাধিক অভিযোগ৷ টোটো কেলেঙ্কারির অভিযোগও উঠেছে৷ বিধায়কের নিজস্ব ফাউন্ডেশনের নামে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে যুবকদের টোটো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা আজও মেলেনি৷ বিধায়কের নামে কয়েক লক্ষ টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগও উঠেছে৷ আমফানেপ পর রায়দিঘির বিভিন্ন নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত৷ দুর্গত এলাকায় দেখা মেলেনি বিধায়কের৷ তারউপর আমাফান ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে চিন্তায় শাসকদলের নেতারা৷ যদিও এই অভিনেত্রীকে দেখেই ভোট দিয়েছিলেন স্থানীয়রা৷ এবার ভোটার বুঝতে পারছেন, বিধায়ক যদি তারকা হন, তাহলে তারার দেশে তাঁকে খুঁজতেই হবে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *