ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে শহরবাসীর! সপ্তাহান্তে রেকর্ড ভিড় দিঘা-শান্তিনিকেতনে

তিনি আরও বলেছেন, 'গত পাঁচমাস ধরে হোটেলগুলো হয় বন্ধ পড়েছিল নয়তো খুব সামান্য পর্যটকদের আনাগোনা দেখা গিয়েছিল। এই প্রথমবার দিঘা, মন্দারমণি এবং তাজপুরের হোটেলের প্রায় ৯০ শতাংশ বুক হয়ে গেছে। সমুদ্র সৈকতে দেখা গেছে সেই পুরনো ভিড়।'

কলকাতা: অতিমারির জেরে পাঁচ মাস কার্যত ঘরে বন্দি দেশের মানুষ। নিতান্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ না থাকলে সংক্রমণের ভয়ে বেরচ্ছে না কেউই। কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গেও একই চিত্র।  বলা বাহুল্য এই পরিস্থিতিতে ঘুরতে যাওয়া বা উইকেন্ড ট্রিপ একেবারেই নৈব নৈব চ। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে শহরবাসীর। দিনের পর দিন ঘরে বসে থাকতে আর ভাল লাগছে না তাদের। 

আরও পড়ুন: ফের দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগ আশঙ্কা, বাংলার আকাশে ঘনীভূত নিম্নচাপ

এই সপ্তাহান্তে তাই সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করেই কাছেপিঠে যেমন, দিঘা, মন্দারমণি, শান্তিনিকেতন, ডায়মন্ড হারবার, পুরুলিয়া, এই সব পর্যটন স্থলে ভিড় করেছে শহরের মানুষ। এই শনি এবং রবিবারে দিঘায় যে পরিমাণ মানুষ ঘুরতে এসেছেন তা দোলের পরে রেকর্ড। অন্যান্য পর্যটন স্থলেও একই ঘটনা ঘটতে দেখা গেল। বাস বা ট্রেনের সুবিধা না থাকলেও বাইক এবং গাড়ি নিয়ে সপ্তাহান্তের ছুটিতে আনন্দ করতে বেরিয়ে পড়েছেন প্রচুর মানুষ। বলা বাহুল্য, এতে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বাংলার পর্যটন যা অতিমারির ধাক্কায় ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হয়েছিল। 

লকডাউনে কার্যত পর্যটকশূন্য হয়ে গেছিল দিঘার সমুদ্র সৈকত। 

দিঘার হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনায় খুশি চেপে রাখেননি। তিনি জানিয়েছেন, 'এই উইকেন্ডে গাড়ি, বাইক নিয়ে দলে পর্যটকদের ভিড় সত্যিই এক আনন্দদায়ক চমক।' তিনি আরও বলেছেন, 'গত পাঁচমাস ধরে হোটেলগুলো হয় বন্ধ পড়েছিল নয়তো খুব সামান্য পর্যটকদের আনাগোনা দেখা গিয়েছিল। এই প্রথমবার দিঘা, মন্দারমণি এবং তাজপুরের হোটেলের প্রায় ৯০ শতাংশ বুক হয়ে গেছে। সমুদ্র সৈকতে দেখা গেছে সেই পুরনো ভিড়।'

আরও পড়ুন: বিদ্যাসাগরের পর রবীন্দ্রনাথ, বিশ্বভারতীতে বুলডোজার-তাণ্ডব! নেপথ্যে তৃণমূল?

কিন্তু বেশি ভিড় হওয়া মানে সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়ে যাওয়া। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিপ্রদাস বাবু জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে হোটেলের সবক'টি ঘর যথাযথ ভাবে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও দেওয়া হয়েছে বাড়তি নজর। জানা গেছে, সি বিচে মানুষের ভিড় থাকাকালীন পুলিশ এবং প্রশাসনের গাড়ি টহল দিয়েছে। লাউডস্পিকারে শারীরিক দূরত্ববিধি মানতে বার বার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলাই বাহুল্য, পাঁচ মাস পর পছন্দের টুরিস্ট স্পটে পৌঁছতে পেরে আনন্দে উচ্ছ্বল পর্যটককুল।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *