বোলপুর: বিশ্বভারতীতে বেপরোয়া তাণ্ডব ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা রাজ্যপালের৷ টুইটে জানিয়েছেন ধনকর৷ তবে, এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলেও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি বলেও উপাচার্যের অভিযোগ তুলে ধরেছেন তিনি৷ বিশ্বভারতীকাণ্ডের রাজ্যপালের মন্তব্যের পাল্টা বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ যা দেখার কেষ্ট (অনুব্রত মণ্ডল) দেখবেন, জানিয়ে দিয়েছেন মহাসচিব৷
আজ সকালে বিশ্বভারতীর মেলার মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়৷ মেলারমাঠ বাঁচাও কমিটির বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব দেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি থেকে শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷ মিছিল থেকে শুরু হয় বেপরোয়া তাণ্ডব৷ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহি তোরণ৷ গোটা ঘটনায় বাংলাজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে৷ আর এই প্রসঙ্গে এবার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ফের প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল৷
বিশ্বভারতীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ টুইটে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আইনভঙ্গকারীরা ক্যাম্পাসের সম্পত্তি নষ্ট করেছে৷ এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিবের থেকে সাড়া মেলেনি৷ জেলাশাসককে জানিয়েও তাঁর সাড়া মেলেনি৷ ক্যাম্পাসে অশান্তির পর জানান উপাচার্য৷ শান্তি ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে৷ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার সমস্ত পদক্ষেপ করা হবে৷’’ প্রথম টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, ‘‘বিশ্বভারতীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক৷ শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি৷ উপাচার্য জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তরা সম্পত্তি ধ্বংস করেছে৷’’ এরপর দ্বিতীয় টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল৷
রাজ্যপালের এই নিয়ে মন্তব্যের পর তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘এই বিষয়টিকে কেষ্টকে বলা হয়েছে, ‘‘জেলা সভাপতি, তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তিনি সামলাবেন৷’’ রাজ্যপালের মন্তব্য প্রসঙ্গে পার্থর মন্তব্য, ‘‘ তিনি যে কোনও ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারেন৷ রাজ্যপাল ঘরের মধ্যে থেকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উপদেশ দেন৷ উনি এখন জনতার দরবারের মতো ঘরে বসে বসে নির্দেশ দেন৷ সেটা কতটা সাংবিধানিক, সেটা তিনি নিজেই ভেবে দেখুক৷’’
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বিশ্বভারতীর বহু জমি আগেই দখল হয়ে গিয়েছে৷ বিশ্বভারতীর বহু জমিতে ঘর-বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে৷ সেই সমস্ত পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে না৷ আমার মনে হয় উপাচার্য ঠিক করেছেন, সমস্ত জমি পুনর্দখল করছেন৷ এতে কোনও সমস্যা থাকার কথা না৷ আদালতের নির্দেশ মতো সেই কাজ হচ্ছে৷ সেখানে তৃণমূলের লোকেরা দখলদারি করছে কেন? এর পিছনে তৃণমূলের বড় কোন উদ্দেশ্য আছে৷ সব জায়গায় গায়ের জোর দেখানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল৷’’