বাঁকুড়া: নির্বাচনে জিততে এবং প্রতিপক্ষ দলকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পুজো, যাগযজ্ঞ করার রীতি এদেশে অনেক দিনের। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু বাংলার বিজেপি সাংসদের এককাঠি ওপরে উঠলেন। বাংলা থেকে তৃণমূলকে তাড়াতে নিজের মাথাই মুড়িয়ে ফেললেন তিনি। সেই সঙ্গে শিবমন্দিরে করালেন যজ্ঞ। তাঁর দেখাদেখি মাথা কামিয়ে ফেললেন আরও ন’জন দলীয় কর্মী।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের জন্য সুখবর, বাড়তি ছুটির ঘোষণা নবান্নের
এককালে তৃণমূলেই ছিলেন সৌমিত্র খাঁ। মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সৈনিক হিসেবে বিশ্বস্ত সৌমিত্র হঠাৎই দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেন। এহেন দলবদলু বিধায়কের কারবারে বিস্মিত হয়েছে রাজনৈতিক মহল। বিষ্ণুপুরের সাংসদের তাতে অবশ্য বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ নেই। বরং বীরদর্পে মাথা নেড়া হয়ে তাঁর কর্মীদের হাতে লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে তুলে দিলেন ত্রিশূল। রবিবার ছিল শ্রাবণ মাসের শেষ দিন। বিষ্ণুপুরের ডিহর গ্রামের প্রাচীন ষাঁড়েশ্বর শিবমন্দিরে সকাল সকাল হাজির হয়ে যান তিনি। প্রথমে ন্যাড়া হয়ে স্নান সেরে ফেলেন সৌমিত্র। এরপর শুরু হয় যজ্ঞ। রাজ্য থেকে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে তাঁর এই কর্মসূচি একথা গোপন করেননি অধুনা গেরুয়া শিবিরের নেতা।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টে রেকর্ড ভিড় শপিং মলে, বিক্রি হল না সেই তুলনায়
হোম যজ্ঞ সেরে সৌমিত্রবাবু বলেন, রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন যেভাবে রাজ্য সরকার লকডাউন করে রাজ্যের মানুষকে রামের পুজোয় বাধা দিয়েছে, তার যোগ্য জবাব ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দল পেয়ে যাবেন মানুষের কাছে। শ্রাবণের শেষ সোমবার প্রাচীন ষাঁড়েশ্বর শিবের মন্দিরে পুজো দিয়ে মহাদেবের কাছে আগামী নির্বাচনে বিজেপির এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার প্রার্থনাও সেরে ফেললেন তিনি।
এরপর খানাকুলের বিজেপি নেতা খুনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, জাতীয় পতাকা হাতে তুলতে গিয়ে যেভাবে বিজেপি নেতাদের খুন হতে হচ্ছে, তার মোকাবিলা করতেই দলের কর্মীদের হাতে ৯০,০০০ ত্রিশূল তুলে দিয়েছেন। সৌমিত্রর দাবি, এই ত্রিশূল আত্মরক্ষার কাজে লাগবে এবং মাধ্যমেই এর মাধ্যমেই অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটবে। যজ্ঞ এবং মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই বিস্মিত রাজনৈতিক মহল।