কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে প্রায় ২ বছরে ৪ বার কাউন্সিলিং হলেও কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার অপেক্ষামান চাকরিপ্রার্থীরা এখনও নিয়োগ পাননি৷ সরকারি স্তরে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবে এখনও পর্যন্ত কার্যকর হয়নি৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী চাকরিপ্রার্থীদের কাছে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ৷ সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন প্রার্থীদের একাংশ৷
২০১৭ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল। এরপর ইন্টারভিউের ডাক পড়ে ২০১৮ সালে। চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টে মামলা দায়েক হয়৷ এই মামলা এখনও চলছে৷ দীর্ঘ বঞ্চনার পর গতবছর কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে চাকরিপ্রার্থীরা একটানা ২৯ দিন অনশন করেন৷ এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনশন মঞ্চে গিয়ে তাঁদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন৷ কিন্তু তার সমাধান আজ পর্যন্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ৷
প্রথম ও দ্বিতীয় কাউন্সিলিং হয়েছিল ২০১৮ ও ১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে৷ তৃতীয় কাউন্সিলিং হয়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে৷ চতুর্থ কাউন্সেলিং হয়েছে চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে৷ কিন্তু এরপরেও কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার ক্ষেত্রে শূন্যপদ বাড়ানোর কোনও দিশা দেখা যায়নি৷ চতুর্থ কাউন্সিলিংয়ে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য মোট অপেক্ষামান চাকরিপ্রার্থী ছিলেন ৪ থেকে ৫ হাজার জন৷ চাকরিপ্রার্থীরা চিঠিতে জানিয়েছেন, গত ১২ আগস্ট বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে উচ্চ প্রাথমিক বিভাগে ৫০০০ শূন্যপদ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে বাদ পড়ে যাচ্ছেন কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার অপেক্ষামান চাকরিপ্রার্থীরা৷
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, বহুবার বিকাশ ভবন, আচার্য ভবন যাওয়া সত্বেও যেহেতু কোনও লাভ হয়নি৷ ফলে, চাকরিপ্রার্থীরা পুনরায় আন্দোলন শুরু করতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷ তাদের কথায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি তাঁদের একমাত্র ভরসা। এই অবস্থায় চাকরি না পেলে তাঁদের অস্তিত্ব রক্ষা করাই সম্ভব হবে না বলেও জানানো হয়েছে৷ নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির সম্ভাবনায় ওই দুই বিষয়ের অপেক্ষামান চাকরিপ্রার্থীরা চরম সংশয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন৷- ফাইল ছবি