বেলুর মঠে করোনা থাবা, আক্রান্ত ৩০ জনের বেশি সন্ন্যাসী-কর্মী

বেলুর মঠে করোনা থাবা, আক্রান্ত ৩০ জনের বেশি সন্ন্যাসী-কর্মী

 

হাওড়া: বেলুর মঠেও এবার করোনার থাবা৷ ৩০ জনেরও বেশি সন্ন্যাসী ও মঠ কর্মীর শরীরে ধরা পড়ল কোভিড-১৯ সংক্রমণ৷ করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার পরই দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাঁদের৷ 

আরও পড়ুন- এই ২ বাস্তুমতে আসে অর্থ ও সৌভাগ্য, তুষ্ট হন দেবীলক্ষ্মী ও গজানন

 

মঠের অন্দরে সংক্রমণের ছোঁয়াচ এড়াতে টেস্ট রিপোর্ট হাতে পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আক্রান্ত সন্ন্যাসী ও কর্মীদের রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ মঠের দুই মহারাজের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার পরই গত সপ্তাহে ভাগে ভাগে হাওড়া বেলুর মঠের ৬০০ জন আবাসিকের করোনা টেস্ট করা হয়৷ মঠের এসপিও জানান, যাঁদের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে, তাঁদের সকলকেই আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে৷ সেখানেই চিকিৎসা করা হবে তাঁদের৷ সুস্থ হওয়ার পরই তাঁদের বেলুর মঠে ফিরিয়ে আনা হবে৷ তবে এখানে ফিরে আসার পর আরও ১৫ দিন কোয়ারেন্টিনেই রাখা হবে ওই সন্ন্যাসী ও কর্মীদের৷ নির্দিষ্ট সময় পরই স্বাভাবিক রুটিনে ফিরবেন তাঁরা৷ 

সূত্রের খবর, রাজস্থান থেকে মঠের মূল মন্দির মেরামতের কাজে আসা শ্রমিকদের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে মঠে আগত পূর্ণ্যার্থীদের থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে অনুমান৷ প্রায় আড়াই মাস পরে সুরক্ষাবিধি মেনে গত ১৫ই জুন ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল বেলুড় মঠ। দেড় মাস পরে ফের তা বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ 

আরও পড়ুন-  মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও মেলেনি নিয়োগ, অনিশ্চিত হবু শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ

সূত্রের খবর, মঠের বয়স্ক ও অসুস্থ সন্ন্যাসীদের থাকার জন্য রয়েছে আরোগ্য ভবন। কিন্তু সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে সকলের একসঙ্গে থাকাটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত দিক পর্যালোচনা করে ‘আইসোলেশন ও বিশ্রাম গৃহ’ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মঠ কর্তৃপক্ষ। বেলুড় মঠ ডাকঘরের পিছন দিকে তৈরি হবে তিনতলা ভবনটি। রাখিপূর্ণিমার দিন ভিতপুজোর পাশাপাশি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী স্মরণানন্দের স্পর্শ করা ইট দিয়ে ভিত গাঁথার সূচনা করেন প্রবীণ সন্ন্যাসীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 11 =