সামনে থেকে মৃত্যুকে দেখলাম, করোনা হারিয়ে উপলব্ধি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের

করোনা নামটার সঙ্গে যেন একরাশ আতঙ্ক রয়েছে। সেই করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। সাধারণ মানুষ থেকে মন্ত্রী, করোনা আবহে সকলের একই অবস্থা। সেই করোনাকে যুদ্ধে হারাতে শারীরিক শক্তির পাশাপাশি মানসিক শক্তিও প্রয়োজন। টানা ১০ দিন হাসপাতালে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করাপ পর ঠিক যেন এমনটাই বললেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। 

 

কলকাতা:  করোনা নামটার সঙ্গে যেন একরাশ আতঙ্ক রয়েছে। সেই করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। সাধারণ মানুষ থেকে মন্ত্রী, করোনা আবহে সকলের একই অবস্থা। সেই করোনাকে যুদ্ধে হারাতে শারীরিক শক্তির পাশাপাশি মানসিক শক্তিও প্রয়োজন। টানা ১০ দিন হাসপাতালে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার পর ঠিক যেন এমনটাই বললেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। 

আরও পড়ুন- নেওয়া যাবে না আগ্রিম, ডিসান হাসপাতালকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা কমিশনের

প্রথম একটি বেসরকারি হাসপাতাল। তারপর প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেলেঘাটা আইডিতে স্থানান্তিরত করা হয় স্বপন দেবনাথকে। টানা ১০ দিন বেলেঘাটা আইডিতে থাকার পর স্বপন দেবনাথ করোনা মুক্ত হয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। ছাড়া পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধ লড়াই করা আমার জন্য কঠিন হলেও, বরাবর মনের জোর রেখেছিলাম। সারাজীবন লড়াই করেছি। এবারও লড়াই করলাম। শারীরিক ও মানসিক উভয়ক্ষেত্রে লড়াইটা চালিয়ে যেতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, খালবিল উৎসবের সময় চুনোকালির মূর্তি স্থাপন করেছিলাম। প্রাণপনে সেই মূর্তিকে ডেকে গেছি। সেই সঙ্গে ছিল দিদির ভালোবাসা। ওই মূর্তি শুধু পাথরের নয়। সব কিছু ঠিক হলে প্রথম যখন বের হতে পারব, চুনোকালির মূর্তিকে পুজো দিয়ে আসব।

আরও পড়ুন- ‘বিশ্বকবির অশ্রম রাজনীতির আখড়া’! বিশ্বভারতী তাণ্ডবে খোলা চিঠি শঙ্খ-মনোজ-রুদ্রদের

তিনি বলেন, আইসিইউ যখন ছিলাম, প্রতিদিন মানুষকে এক এক করে করোনার বিরুদ্ধে হারতে দেখেছি। তখন মনে হয়েছে, এবার বোধহয় আমার পালা। কিন্তু ততবার নিজেকে নানা ইতিবাচক চিন্তা করেছি। কিন্তু বেলেঘাটা আইডির প্রতিটি মানুষ আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। তাঁরা আমাকে ইতিবাচক থাকতে সাহায্য করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 8 =