৪ জনের সংসার সামলে স্কুল, Mrs. India-র ফাইনালে বাংলার শিক্ষিকা তানিয়া

প্রতিদিন ১০০ কিলোমিটার পথ পেড়িয়ে তানিয়া মেখলিগঞ্জে শিক্ষকতা করতে আসেন। বাড়িতে পাঁচ বছরে মেয়ে হৈমদ্রিতি ও স্বামীকে সামলে প্রতিদিন ব্যস্ত রুটিন মাফিক কাজ করেন তানিয়া। হৈমদ্রিতি ইউ কেজি তে পড়ে। সকাল বেলা উঠে স্বামীকে অফিস যাওয়ার জন্য তৈরি করে, মেয়েকে সামলে তানিয়াকে বেড়িয়ে পড়তে হয় মেখলিগঞ্জের উদ্দেশ্যে। এর মধ্যেই গত বছর অক্টোবর মাসে মিসেস ইন্ডিয়ার প্রতিযোগিতায় নাম দেন তিনি।

 

জলপাইগুড়ি: যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। আরও একবার প্রমাণ দিলেন জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির বাসিন্দা তানিয়া সরকার৷ মিসেস ইন্ডিয়া ২০২০ এর ফাইনাল রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। পাঁচ বছরের মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে সংসার সামলানোর পাশাপাশি পেশায় তিনি শিক্ষিকা৷ এসব কিছুর বাইরেও এখন তাঁর নতুন পরিচয়, তিনি মিসেস ইন্ডিয়ার ফাইনালিস্ট।

প্রতিদিন ১০০ কিলোমিটার পথ পেড়িয়ে তানিয়া মেখলিগঞ্জে শিক্ষকতা করতে যান৷ বাড়িতে পাঁচ বছরে মেয়ে হৈমদ্রিতি ও স্বামীকে সামলে প্রতিদিন ব্যস্ত রুটিন মাফিক কাজ করেন তানিয়া। হৈমদ্রিতি ইউ কেজিতে পড়ে। সকাল বেলা উঠে স্বামীকে অফিস যাওয়ার জন্য তৈরি করে, মেয়েকে সামলে তানিয়াকে বেড়িয়ে পড়তে হয় মেখলিগঞ্জের উদ্দেশ্যে। এর মধ্যেই গত বছর অক্টোবর মাসে মিসেস ইন্ডিয়ার প্রতিযোগিতায় নাম দেন তিনি। অনলাইন মারফত প্রতিযোগিতার খবর জানতে পেরেছিলেন তানিয়া। তারপরেই ফর্ম ফিলাপ করেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র তানিয়া নির্বাচিত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে ১৪ হাজার প্রতিযোগিনীদের মধ্যে বর্তমানে ফাইনাল রাউন্ডে পৌঁছে গেছেন তানিয়া। চূড়ান্ত ফলাফল জানার জন্য মুখিয়ে আছেন তানিয়ার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি রাজ্যবাসীরাও। কথা ছিল রাজস্থানের জয়সলমীর জেলায় ২০২০ মিসেস ইন্ডিয়ার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তা পিছিয়ে গিয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর এই ফাইনাল পর্বের অনুষ্ঠান প্রতিযোগিতার কর্তৃপক্ষ তরফে। তবে পরিস্থিতির দিক বিচার করে এই তারিখ পরিবর্তিত হতে পারে।

দিন ঠিক না হলেও প্রস্তুতি পর্ব মোটেই থেমে নেই। জিম, সাঁতার, যোগব্যায়াম, পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট, ডায়েটিং ইত্যাদি সব কিছুই চলছে পুরোদমে। তানিয়ার কথায়, সকালে শরীরচর্চার পর মেয়েকে মর্নিং স্কুলে পাঠিয়ে স্বামী ও নিজের অফিস যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নিতে হয় তাঁকে। ফিরে এসে আবারও যোগ, শারীরচর্চা ও নিজের পড়াশোনা। ২৪ ঘণ্টা সময়কে ভাগ করে নিয়েছেন তানিয়া। তিনি আরও বলেছেন, পরিবারের সদস্যদের সাহায্য ছাড়া এতদূর এগোনো তাঁর পক্ষে সম্ভব হত না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + two =