বিশ্বভারতী ইস্যুতে হস্তক্ষেপ পুলিশ সুপারের, আশ্রমিকদের বাড়ি গিয়ে বললেন কথা

বোলপুর: বিশ্বভারতী ইস্যুতে এখন ফুটছে গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীর এলাকাতে প্রাচীন নির্মাণ নিয়ে প্রবীণ আশ্রমিকদের সমস্যার কথা বলতে এবার তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বললেন বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বোলপুর ও শান্তিনিকেতন, দুই থানার অফিসার ইনচার্জ। প্রাণীবিদ্যা উর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর, আশ্রম পুত্র শান্তিদেব ঘোষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পুলিশ সুপার ইস্যুটিতে হস্তক্ষেপ করায় খুশি আশ্রমিকরা। এদিন পুলিশ সুপার স্পষ্ট জানিয়ে দেন এরপর যদি পাঁচিল তুলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে যেন অবশ্যই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হয়। কারণ রাস্তা বন্ধ করার ক্ষমতা শুধুমাত্র জেলাশাসকের থাকে। বাকি কোনও দপ্তরের এই ক্ষমতা থাকে না বলে জানান তিনি।

বোলপুর: বিশ্বভারতী ইস্যুতে এখন ফুটছে গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীর এলাকাতে প্রাচীন নির্মাণ নিয়ে প্রবীণ আশ্রমিকদের সমস্যার কথা বলতে এবার তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বললেন বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বোলপুর ও শান্তিনিকেতন, দুই থানার অফিসার ইনচার্জ। প্রাণীবিদ্যা উর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর, আশ্রম পুত্র শান্তিদেব ঘোষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পুলিশ সুপার ইস্যুটিতে হস্তক্ষেপ করায় খুশি আশ্রমিকরা। এদিন পুলিশ সুপার স্পষ্ট জানিয়ে দেন এরপর যদি পাঁচিল তুলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে যেন অবশ্যই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হয়। কারণ রাস্তা বন্ধ করার ক্ষমতা শুধুমাত্র জেলাশাসকের থাকে। বাকি কোনও দপ্তরের এই ক্ষমতা থাকে না বলে জানান তিনি।

এদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেলার মাঠকে ঘিরে ফেলার কারণে সম্প্রতি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে মাঠের মধ্যে অসামাজিক কাজকর্ম হয়। সেই কারণেই পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে মাঠটিকে। এছাড়া অবাধ যৌনতা এবং দেহ ব্যবসা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রমাণস্বরূপ মাঠের যত্রতত্র নাকি কন্ডোম পাওয়া গিয়েছে বলেও অভিযোগ। এছাড়া মদের বোতল ও উচ্ছিষ্ট প্লাস্টিকের খাবারও থাকে। তবে মেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করতেই বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার একাধিক মানুষ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসামাজিক কাজকর্ম ও যৌনাচারের যে অভিযোগ তুলেছে তা মানতে নারাজ তারা। বিশ্বভারতীর প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আর একটি মারাত্মক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। তা হল পরিবেশ আদালতের রায়। শনিবার শান্তিনিকেতন একটি সাংবাদিক বৈঠকে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জানিয়েছেন পৌষমেলা ও বসন্ত উৎসব ঐতিহাসিক। যদি একান্তই বিশ্বভারতী এগুলি করতে না পারে, তাহলে রাজ্য সরকার দায়িত্ব নিক। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠিও লিখেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার জানান, এখনই এ নিয়ে কোন মন্তব্য তিনি করতে চান না।

কিছুদিন আগে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন এলাকার বর্জ্য ঠিকমতো পরিস্কার হয় না বলেও পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুভাষবাবু। গত ১৯ আগস্ট মামলার রায়ে আদালত জানায় রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে আগামী এক বছরের মধ্যে বর্জ্য পরিস্কারের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জানান পৌষমেলার মাঠ নিয়ে পরিবেশ আদালত যে রায় দিয়েছে তার ভুল ব্যাখ্যা করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তিনি এও বলেন পরিবেশ আদালত মাঠের ডিমারকেশন করতে বলেছে। প্রাচীর দিতে একেবারেই বলেনি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আদালতকে যে পিটিশন জমা দিয়েছিল সেখানে তারা মেলার মাঠ ডিমারকেশন ও ব্যারিকেড দেওয়ার কথা বলেছিল। তবে ১৭ আগস্টের হামলার তীব্র প্রতিবাদ করেন সুভাষবাবু। এদিন তিনি জানান বিশ্বভারতী আইনের পথে বা বেআইনিভাবে যে নির্মাণ করেছে তা নিজের জায়গায় করেছে। তা ভেঙে দেওয়ার অধিকার কারও নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − two =