প্রায় ৫০০ বছর ধরে চুপ করেই ছিল যে আগ্নেয়গিরি, ক্রমশ তা জেগে উঠেছে। যা দেখে হতবাক ভূতত্ত্ববিদরা। কারণ ৭০ বছর টানা বিশ্রামেই ছিল এই আগ্নেয়গিরি। অগ্নুত্পাতের সম্ভাবনাও ছিল না। এমনকি লাভা নিঃসরণের মতো ঘটনাও চোখে পড়েনি। এবার সেই আগ্নেয়গিরিই জেগে উঠছে। নাসার তথ্য অনুযায়ী-
• ১৫৩৮ সালে দক্ষিণ ইতালির ক্যাম্পি ফ্লেগরেই আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছিল
• বার বার ওই এলাকায় হয়ে চলা মৃদু ভূমিকম্প এর প্রমাণবাহী
• ভূতত্ত্ববিদদের মত, আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে লাভা নির্গমণ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে
আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখা ভূতত্ত্ববিদদের মত, যে কোনও আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠার আগে বিভিন্ন ধরণের সতর্কতা দিতে থাকে। যে সতর্কতা ইতিমধ্যেই ফ্লেগ্রিয়ান ফিল্ডস এলাকায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মূলত ফ্লেগ্রিয়ান ফিল্ডস ইতালির নেপলসের পশ্চিমে অবস্থিত সুপারভলক্যানিক ক্যান্ডেরাসের একটি বৃহত্ অঞ্চল।
• ২০০৩ সালে এটিকে আঞ্চলিক উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়
• ক্যালডেরার এলাকায় মোট ২৪ টি গর্ত আছে
• আগ্নেয়গিরিটি জলের তলায় ঘুমন্ত
এখনও পর্যন্ত ভূ-বিজ্ঞানীদের সামনে যে তথ্য এসেছে, তাতে দেখা গেছে, ৭০ বছরের মধ্যে গত কয়েক বছরে অন্তত ১০ হাজার বার ভূ-কম্পন হয়েছে এই এলাকায়। প্রশ্ন উঠছে, এই আগ্নেয়গিরি জেগে উঠলে কতটা ক্ষতির সম্ভাবনা। কতটা তীব্র হবে এই আগ্নেয়গিরি। ভূবিজ্ঞানীদের মত, অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে এই আগ্নেয়গিরি। তাই অগ্নুত্পাত হলেও তা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। University College of London ও Italy National Research Institute for Geophysics and Volcanology-র যৌথ গবেষণা বলছে,
• ১৫৩৮ সালে অগ্নুত্পাতের পরই দুর্বল হয় এই আগ্নেয়গিরি
• এর মাঝে ১৯৫০,১৯৭০ ও ১৯৮০ সালে আগ্নেয়গিরি মৃদু জেগে ওঠে
• তাই আগ্নেয়গিরি জেগে উঠলেও অগ্নুত্পাত হওয়ান নিশ্চয়তা নেই
সুতরাং, দক্ষিণ ইতালির প্রাচীন এই আগ্নেয়গিরি যা ঘুমন্ত ছিল, সেই আগ্নে.গিরি জেগে উঠলেও ক্ষতির সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও আগ্নেয়গিরির উপর খুব বেশি ভরসা রাখাও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। প্রকৃতি বদলানোর সম্ভাবনাকেও অস্বীকার করছেন না বৈজ্ঞানিকরা।