কলকাতা: নবান্নে ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানে সংক্রমণ এতো বেশি কেন? প্রশ্ন করলেন তিনি৷
রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ ক্রমেই উদ্বেগজনক হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি৷ এর মধ্যে দুই বর্ধমান নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কাটোয়া এবং বর্ধমান পুরসভায় গত ১৫ দিনে সংক্রমণ অনকেটাই বেড়েছে৷ পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার ওসি-সহ ১৬ জন পুলিশ আধিকারিক ও কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ এই বিষয়টি জানার পরই পুলিশ বারাক ভাগ করে দেওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় বারাক তৈরি করে পুলিশ কর্মীদের ভাগ করে দিতে হবে। যাতে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হয়৷ তবে এই জেলার সুস্থতার হার ভালো বলেই উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আক্রান্তের দিক থেকে পূর্ব বর্ধমানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান৷ এই জেলায় আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি, ৫.৯ শতাংশ৷ পশ্চিম বর্ধমানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কেন? জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী৷ এর জন্য শিল্প-কারখানা দায়ী কিনা, তাও জানতে চান তিনি৷ এই প্রসঙ্গে জেলা শাসক জানান, এখানে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা রয়েছে৷ এছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে বহু মানুষ পশ্চিম বর্ধমানে চিকিৎসার জন্য আসছেন৷
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী রাজ্য থেকে আসা রোগীদের অবশ্যই চিকিৎসা দেওয়া হবে৷ তবে তাঁদের জেলার কোভিড আক্রান্তদের তালিকায় ঢোকালে চলবে না৷ আলাদা করে তাঁদের হিসাব রাখতে হবে৷ প্রতিবেশী রাজ্যের রোগী হিসাবেই তাঁদের গণ্য করতে হবে৷ হাসপাতালে ভর্তির সময় লোকাল ঠিকানা নয়, তাঁদের রাজ্যের আসন ঠিকানা লিখতে হবে৷ লোকাল ঠিকানা দিলে তাঁরা জেলার তালিকাতেই ঢুকে পড়বে৷ নাম না করেই মহারাষ্ট্রকে ঠুকে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার লোক ছাড়া চাকরি পাবে না, বা চিকিৎসা পাবে না এমন অমানবিক কথা আমরা বলব না৷’’ তবে ঠিকানাটা যেন সঠিক লেখা হয়৷
এদিকে, বাঁকুড়াতে কোভিড পজেটিভ রয়েছেন ২.৭ শতাংশ এবং বীরভূমে ২.১ শতাংশ৷ তুলনায় পুরুলিয়ায় অনেকটাই কম৷ মাত্র ১.৬ শতাংশ৷
আরও পড়ুন- অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত অল্পবয়সি গৃহবধূরাও, পড়ছেন বিপাকে
আরও পড়ুন- আনলক-৪ পর্বে মিলতে পারে সবুজ সংকেত, পানশালায় বাড়ছে স্টক!