ইন্টারভিউয়ের ডাক পেয়েও চাকরি হারালেন যুবক, চরমে ডাকঘরের গাফিলতি

মেদিনিপুরের কেশিয়ারির গগনেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ্ত মাইতি। ব্যাঙ্কের লিখিত পরীক্ষা ভালই হয়েছিল। কিন্তু সময়ে চিঠি এসে না পৌঁছানয় চাকরির ইন্টারভিউয়ে যেতে পারলেন না তিনি। জানা গেছে ১৪ আগস্ট পোস্ট অফিস থেকে চিঠিটি পিওনের হাতে দিয়ে দেওয়া হলেও, পিওনের গাফিলতির কারণেই ওই চিঠি সময়ে প্রদীপ্ত বাবুর কাছে পৌঁছায়নি।

 

মেদিনীপুর: মাস খানেক আগে বিদ্যাসাগর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন মেদিনীপুরের যুবক প্রদীপ্ত। অপেক্ষা করছিলেন ইন্টারভিউ লেটারের। সেই চিঠি এসেছে বটে, কিন্তু ইন্টারভিউয়ের ৩ দিন পর। ৩দিন ধরে পিওনের ঘরেই পড়েছিল সেই চিঠি। ফলে চাকরির সুযোগ হাতছাড়া হল ওই যুবকের।

মেদিনীপুরের কেশিয়ারির গগনেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ্ত মাইতি। ব্যাঙ্কের লিখিত পরীক্ষা ভালই হয়েছিল। কিন্তু সময়ে চিঠি এসে না পৌঁছানয় চাকরির ইন্টারভিউয়ে যেতে পারলেন না তিনি। জানা গেছে ১৪ আগস্ট পোস্ট অফিস থেকে চিঠিটি পিওনের হাতে দিয়ে দেওয়া হলেও, পিওনের গাফিলতির কারণেই ওই চিঠি সময়ে প্রদীপ্ত বাবুর কাছে পৌঁছায়নি। নির্দিষ্ট সময়ের ৩ দিন পর অর্থাৎ ২২ আগস্ট সেই চিঠি হাতে পান প্রদীপ্ত।

স্থানীয় ডাক বিভাগের ওই কর্মী বিষ্ণুপদ পণ্ডাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করায় তিনি জানিয়েছেন, গত ১৫ ও ১৬ তারিখ ছুটি ছিল। তারপর ১৭ ও ১৮ তারিখ তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় কাজে বেরাতে পারেননি। এরপর ২০ ও ২১ আগস্ট রাজ্যে লকডাউন থাকায় কাজ বন্ধ ছিল। যথারীতি তিনি ২২ তারিখ সেই চিঠি পৌঁছে দেন প্রদীপ্ত বাবুর ঠিকানায়। স্থানীয় পোস্ট মাস্টার চিত্তরঞ্জন কর বলেছেন, 'ভুল তো একটা হয়েছেই, কর্তৃপক্ষ এবার যা নির্দেশ দেবেন মাথা পেতে নিতে হবে।' এ বিষয়ে প্রদীপ্ত'র আক্ষেপ, ‘‘চিঠি হাতে পাওয়ার পর খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু খুলে দেখার পর মন ভেঙে যায়৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 5 =