আশুতোষ কলেজে ভর্তির আবেদন সানি লিওনের, মেধা তালিকায় শীর্ষে স্থান

আশুতোষ কলেজে ভর্তির আবেদন সানি লিওনের, মেধা তালিকায় শীর্ষে স্থান

কলকাতা: সব বিষয়ে ১০০-র মধ্যে ১০০ নম্বর৷ স্বাভাবিক ভাবে মেধাতালিকায় সবাইকে পিছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি৷ চলতি বছরে পাস করেছেন উচ্চ মাধ্যমিক৷ তারপর আশুতোষ কলেজে ইংরেজি নিয়ে পড়তে চান তিনি৷ অনলাইনে করেছেন আবেদন৷ এত ভালো ফলাফল, মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছেন তিনি৷ ভাবছেন, কে এই মেধাবী পড়ুয়া? নাম তাঁর সানি লিওন৷ না, চমকে যাবেন না! অভিনেত্রী সানি লিওন৷ আশুতোষ কলেজে ইংরেজি নিয়ে পড়তে চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি! মেধাবী সানি লিওনে আবেদন গ্রহণ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ মেধা তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছেন তিনি৷

আশুতোষ কলেজে ইংরেজি মেধা তালিকায় এক নম্বরে স্থান রয়েছে সানি লিওনের নাম৷ সব বিষয়ে ১০০-১০০৷ উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ সানি লিওন ইংরেজিতে পড়তে চেয়ে আশুতোষ কলেজে আবেদন করেছেন! আশুতোষ কলেজের ইংরেজির মেধাতালিকায় সানি লিওনের নাম প্রকাশ আসতেই শুরু হয়ে যায় শোরগোল৷  বিতর্ক তৈরি হতেই মেধা তালিকা থেকে নাম সরিয়ে দেয়ে কর্তৃপক্ষ৷ তবে নাম সরিয়ে দিলেও অপরিবর্তিত রয়েছে মেধা তালিকা৷

আশুতোষ কলেজে মেধা তালিকায় ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে৷ প্রথমে প্রকাশিত ইংরেজির মেধাতালিকায় এক নম্বরে সানি লিওনের নাম প্রকাশ করা হয়৷ সানি লিওনের রোল নম্বর ২০৭৭৭৭-৬৬৬৬‌। উচ্চমাধ্যমিক বোর্ড থেকে সাধারণ পড়ুয়া হিসাবে সমস্ত বিষয়ে ১০০ নম্বরের মধ্যে ১০০ পেয়ে তালিকায় শীর্ষে সানি লিওন৷ সানি লিওনের নাম মেধা তালিকায় উঠে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় নেট দুনিয়ায়৷ তাহলে কি আশুতোষ কলেজে ইংরেজি পড়তে আবেদন করেছেন সানি লিওন? এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই নাম সরিয়ে দেয়ে কর্তৃপক্ষ৷

করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবছর অনলাইনে কলেজে ভর্তির আবেদন জমা নেওয়া হয়েছিল৷ সেখানে খুব সম্ভবত কেউ সানি লিওনের নাম ব্যবহার করে ভুয়ো আবেদন করে থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ কিন্তু কে বা কারা সানি লিওনের নামে আবেদন করে থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন তা না দেখে সমস্ত আবেদন গ্রহণ করে মেধা তালিকা প্রকাশ করল,  শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ পরে যদিও তালিকা বদল করে দেওয়া হয়৷ 

কীভাবে সানি লিওনের নাম মেধা তালিকায় উঠে এল? সেই বিষয়ে সাফাই দিয়েছেন আশুতোষ কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অপূর্ব রায়৷ সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ওটা ডিলিট করা যাবে না৷ তাহলে সব ব়্যাঙ্ক বদলে যাবে৷ আমরা নামটিকে সরিয়ে দিয়েছি৷ ওখানে অন্য নাম বসানো হয়েছে৷ মাকসিট ভেরিফাই করলে পরিষ্কার হয়ে যাবে৷ যেহেতু এবার আবেদন করতে গিয়ে কোনও ফি নেওয়া হয়নি, তাই কেউ বদমাইশি করে এটা করেছে৷’’ কিন্তু, তালিকা যাচাই না করে কেন মেধাতালিকা প্রকাশ? প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − eight =