কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে এখনও স্কুল কলেজ ঠিকমতো খোলেনি। আর এরই মধ্যে JEE ও NEET পরীক্ষা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। ১৭ আগস্ট এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সম্মতিও জানিয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা স্থগিতে আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ৬ রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্রের তরফে একজন করে মন্ত্রী এই আবেদন জানিয়েছেন। আর এদিনের সভায় সেই মন্তব্যই তুলে ধরলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের উপর প্রশ্ন তুলে এদিন বলেছেন, এই ধরনের পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষা স্থগিত করার উচিত ছিল। কারণ ছাত্রছাত্রীরা অন্য জায়গায় গিয়ে পরীক্ষা দেন। কেউ দিল্লি থেকে কলকাতায় আসান পরীক্ষা দিতে, কেউ আবার কলকাতা থেকে অন্য জায়গায় যায়। এই পরিস্থিতিতে এখনও ট্রেন চালু করা সম্ভব হয়নি। অন্য ট্রান্সপোর্টও ১০০ শতাংশ চলছে এমন নয়। এখন পরীক্ষা দিতে গিয়ে যদি পরীক্ষা মিস হয়, যদি তারা পৌঁছতে না পারে, তবে তাদের বছরটাই নষ্ট হয়ে যাবে। সেই জন্য দায়ী থাকবে কে?
এদিন তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এখন স্কুল খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল হওয়া প্রয়োজন। তাই এই দুই শ্রেণির ক্ষেত্রে ক্লাস হবে। এদিন নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও একহাত নেন তিনি। বলেন, নতুন এই শিক্ষা ব্যবস্থায় কী হবে, তা এখনও ধোঁয়াশা। দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিন তিনি আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীরা যেন স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে না যান। ন্যূনতম যেটুকু দরকার সেটুকুই যেন করা হয়। সভায় উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এদিন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, সমস্ত সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে আলোচনা করে যেন পরের সপ্তাহের মধ্যে যেন ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে সেপ্টেম্বর মাসে যে পরীক্ষা হবে না, তা এদিন নিশ্চিত করেন মমতা। পরীক্ষা যদি হয় তাহলে পুজোর ঠিক আগে। এনিয়ে শিক্ষা দপ্তরকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন তিনি।