কলকাতা: একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার বিল আকাশ ছোঁয়া৷ বিল দেখে মাথায় হাত পড়ছে মধ্যবিত্তদের৷ অনেকেরই অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত চার্জ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বাড়তি টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (ডাব্লুবিসিইআরসি)।
আরও পড়ুন- রবীন্দ্রনাথ বহিরাগত? বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ব্যাখ্যা দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ
প্রথম ঘটনাটি হল বিপি পোদ্দার হাসপাতালের৷ ওই হাসপাতালে চার দিনের জন্য ভর্তি ছিলেন এক করোনা রোগী৷ চারদিনের জন্য ওই রোগীকে ১ লক্ষ ৫১ হাজার ২৫৯ টাকার বিল ধরানো হয়৷ বিল দেখেই কমিশনের কাছে অভিযোগ করে ওই রোগীর পরিবার৷ এর পরেই এই টাকার নির্দিষ্ট অংশ ওই রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কমিশনের চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কমিশনের মনে হয়েছে চার দিনের জন্য চিকিৎসা খরচ হওয়া উচিত ৯০ হাজারের মতো৷ এর পরেই চূড়ান্ত শুনানির সময় বাকি টাকাটা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়৷’’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও তাঁদের হাতে এই মামলার কপি এসে পৌঁছয়নি৷ তবে কমিশনের নির্দেশ মেনে চলবেন তাঁরা৷ বিপি পোদ্দার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার মোহিত ডি ভগত বলেন, ‘‘আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত৷ ভুলটা আমাদের নাকি রোগীর পরিবার এই অর্থ দিতে অপারগ৷’’
আরও পড়ুন- মাত্র ১০ সপ্তাহে ৬৫ হাজার করোনা রোগীকে হাসপাতালে পৌঁচেছে কলকাতার জিপিএস অ্যাম্বুলেন্স
এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে আর-ফ্লেমিং নার্সিংহোমেও৷ ছয় দিনের জন্য এক কোভিড রোগীকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বিল ধরানো হয়৷ কমিশনে অভিযোগ জমা পড়ার পরই আপাতত রোগীর পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন৷ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুয়ারে হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় রোগীর দুটি ডায়ালিসিস হয়েছিল৷ এর পর এত বিল হল কী ভাবে? অন্তবর্তীকালীন নির্দেশ জারি করে এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে৷’’
এছাড়াও তোপসিয়া হাসপাতাল, বজবজের জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, আইএলএস দমদমের মতো হাসপাতালেও অতিরিক্ত চার্জ করার অভিযোগ উঠেছে৷