৮ লক্ষ টাকায় পার্টি অফিস বেচে দিলেন তৃণমূল নেতা! সেচের জমি জবরদখল?

৮ লক্ষ টাকায় পার্টি অফিস বেচে দিলেন তৃণমূল নেতা! সেচের জমি জবরদখল?

তমলুক: ধাক্কাটা এসেছিল লোকসভা নির্বাচনে৷ দলের হাল ফেরাতে তড়িঘড়ি পেশাদার সংস্থাকে নিয়োগ করতে কার্যত বাধ্য হয়েছিল ঘাসফুল শিবির৷ লোকসভা নির্বাচনের ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত করে ২১-এর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে৷ কিন্তু প্রস্তুতি চললেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের৷ এবার সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে৷

তৃণমূল নেতাই বিক্রি করলেন পার্টি অফিস৷ তাও আবার সাড়ে ৮ লক্ষ টাকায়৷ তৃণমূলের পার্টি অফিস বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কোলাঘাটে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে৷ কোলাঘাটে তৃণমূলের পার্টি অফিস বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷

অভিযোগ কোলাঘাট ব্লকের গোবিন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি দলীয় কার্যালয় ছিল গঙ্গামারো এলাকায়৷ পার্টি অফিস পরিচালোনা করতেন অঞ্চল সভাপতি মানব সামন্ত৷ অভিযোগ, কাউকে কিছু না জানিয়ে স্থানীয় এক যুবকের কাছে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পার্টি অফিস বিক্রি করে দেন তিনি৷ রাতারাতি পার্টি অফিস বিক্রি হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যে ব্লক ও জেলা নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ পৌঁছে দিয়েছেন৷

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, ওই পার্টির অফিস তাঁর৷  সেচ দপ্তরের জায়গা দখল করে তিনি বাড়ি তৈরি করেছিলেন৷ পরে দলের কাজে জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন৷ তবে ওটা কখনই পার্টি অফিস নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ওই বাড়িটি তৃণমূলের পার্টি অফিস৷ আচমকা পার্টি অফিস বিক্রির কথা শুনে বেজায় চটেছেন ব্লক নেতৃত্ব৷ জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷

তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ উঠেছে৷ সেচ দপ্তরের জায়গায় পার্টি অফিস তৈরি হয়েছিল বলে দাবি অভিযুক্ত নেতার৷  আমার টাকাতেই তৈরি হয়েছিল পার্টি অফিস৷ পার্টি অফিস বিক্রির অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা৷ সেচ দফতরের জমি কীভাবে বিক্রি করা হল? তার ওপরে কীভাবে পার্টি অফিস গড়ে উঠল? প্রতিক্রিয়া মেলেনি প্রশাসনের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + sixteen =