করোনা আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের নতুন ‘ঘর’ ইডেন গার্ডেন্স

কলকাতা: নতুন রূপে এখন বিরাজ করছে কলকাতার ঐতিহ্যশালী স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেনস। স্টেডিয়ামটি বর্তমানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত কোনও পুলিশের সংস্পর্শে আসা কোনও ব্যক্তিরা এখানেই আইসোলেশনে থাকছেন। পুলিশ কর্তাব্যক্তিদের জন্য এটি ছিল সেফ হোম। তবে দু'সপ্তাহ ধরে চিত্রটা কিছুটা বদলেছে। ইডেন গার্ডেন্স এখন ১৩ জন উপসর্গহীন করোনা পজিটিভ পুলিশের ঘর। স্টেডিয়ামটিতে এর পর থেকে দুই জন নীলরতন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা শিফটে স্টেডিয়ামে কাজ করছেন।

কলকাতা: নতুন রূপে এখন বিরাজ করছে কলকাতার ঐতিহ্যশালী স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেনস। স্টেডিয়ামটি বর্তমানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত কোনও পুলিশের সংস্পর্শে আসা কোনও ব্যক্তিরা এখানেই আইসোলেশনে থাকছেন। পুলিশ কর্তাব্যক্তিদের জন্য এটি ছিল সেফ হোম। তবে দু'সপ্তাহ ধরে চিত্রটা কিছুটা বদলেছে। ইডেন গার্ডেন্স এখন ১৩ জন উপসর্গহীন করোনা পজিটিভ পুলিশের ঘর। স্টেডিয়ামটিতে এর পর থেকে দুই জন নীলরতন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা শিফটে স্টেডিয়ামে কাজ করছেন।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে তারা এখন এই এখানে মোট বিছানার সংখ্যাও বাড়িয়েছে। প্রস্তাবিত ৫০টি বেড থেকে এখন স্টেডিয়ামে বেজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫। “কলকাতা পুলিশের সুস্থাতার হার ছিল খুব ভাল। শুক্রবার পর্যন্ত ১ হাজার ৯১৭ জন করোনায় আক্রান্তে হয়েছেন। তার মধ্যের সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৭৮৮ জন। ৭০ শতাংশ ফের কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে আমরা দেখেছি যে আমাদের অনেক কর্মী একাধিক কারণে বাড়িতে নিজেকে আইসোলেট করতে রাজি নন। এই সংক্রামিত কর্মীদের আত্মীয়দেরও সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যেমনটি গত মাসের শুরুতে কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল। সুতরাং, একবার আমরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) এবং সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সম্মতি পাওয়ার পরে আমরা জানতাম যে আমাদের একটি নিরাপদ বাড়ি তৈরি করতে হবে।” বলেন ওয়েলফেয়ার সেলের এক প্রবীণ কর্মকর্তা।

সূত্র জানায়, আপাতত E এবং F ব্লকগুলি রোগীরা ভর্তি করে রেখেছেন। সিএবি জানিয়েছে, “আমরা তাদের F ব্লকের মিনি হাসপাতাল এলাকাও ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছি। যেসব চিকিৎসকরা রোগীদের পর্যবেক্ষণ করবেন তাঁদের সেগুলি ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে।” একজন কর্মকর্তা বলেছেন “মিনি হাসপাতালের ব্যাকআপের মাধ্যমে এই ১৩ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তিদের মতোই চিকিত্সা পাচ্ছেন।” হাওড়ার ডুমুরজোলা স্টেডিয়ামে সংরক্ষিত ১২০ শয্যা ভরাট হওয়ার পর দুই মাস ধরে কলকাতা পুলিশ মরিয়া হয়ে একটি বৃহত কোয়ারেন্টাইন ফাইলে অনুসন্ধান করছিল। রবীন্দ্র সরোবরে ফাঁড়িটিকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে কাজে লাগানোর কথা ভেবেছিল লালবাজার। কিন্তু মর্নিং ওয়াকারদের আপত্তির কারণেসেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপরে লালবাজারের কর্মকর্তারা ইডেন গার্ডেনের দিকে নজর দেন। এরপর সিএবিকে চিঠি দিয়ে পুলিশ স্টেডিয়ামের একটি অংশকে পুলিশকর্মীদের জন্য অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তর করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 3 =