নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কাজ চলছে প্ল্যাটফর্মে। কিন্তু কিসের জন্য এই দূরত্ববিধি মানার বৃত্ত? তবে কী দীর্ঘবিরতি কাটিয়ে ফের ভারতীয় জনজীবনে গতি আনবে ভারতীয় রেল? শিয়ালদহ বনগাঁ শাখার বারাসত জংশনের প্ল্যাটফর্মসহ উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন রেলস্টেশনের সাম্প্রতিক ছবি প্রায় একইরকম। স্বাভাবিকভাবেই মনে হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে চালু হতে পারে লোকাল ট্রেন পরিষেবা।
মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে সারাদেশজুড়ে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। করোনা মোকাবিলায় লোকাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত মানুষকে কার্যত বিপাকে ফেলে। যদি ভাইরাসের সংক্রমন রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্য রেল বন্ধ করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালালে তাদের কোনো আপত্তি নেই। এই পরিস্থিতিতে রেল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে লোকাল ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্ল্যাটফর্মে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে তুলি হাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সাদা বা হলুদ রঙের গোলাকার বৃত্ত আঁকার কাজে ব্যস্ত রেলকর্মীরা। তারা জানালেন তাদের কাছে ট্রেন চালু হওয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। কিন্তু যে গুটিকয়েক মানুষ প্লাটফর্মে যাতায়াত করছেন তারা মনে করেন এই বৃত্ত অদূর ভবিষ্যতে লোকাল ট্রেন চলার ইঙ্গিতবাহী। যদিও এর মধ্যেই একদল মানুষ বলছেন করোনা আবহে লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত যথেষ্ট ভেবেচিন্তে নেওয়া উচিত। অন্যদিকে আরেকদল মানুষ বলছেন মানুষের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমবে লোকাল ট্রেন চালু হলেই। আনলক ৪ স্টেজে কর্মস্থলে যেতে সুবিধা হবে লোকাল ট্রেন চালু হলে।
ইতিমধ্যেই ৭ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হতে চলেছে মেট্রো পরিষেবা। স্বাভাবিকভাবেই লোকাল ট্রেন চালু হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। প্রশ্ন একটাই, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালানো কতটা বাস্তবসম্মত হবে। তবে একথা বলাই যায় ভারতের মত দেশে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে লোকাল ট্রেনের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই দীর্ঘবিরতির ফলে রেলের লোকসান পাহাড়প্রমাণ। তাই ভাইরাস সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে ট্রেন পরিষেবা চালু করলে লাভ রেল জনতা উভয়েরই।