করোনা জয়ের পথে বাংলা! আশার আলো জ্বালিয়ে কমছে মৃত্যুর হার

করোনা জয়ের পথে বাংলা! আশার আলো জ্বালিয়ে কমছে মৃত্যুর হার

 

কলকাতা: সারা দেশে বিদ্যুৎ গতিতে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে আক্রান্তের নতুন রেকর্ড৷ এর মধ্যে উল্লেখজনকভাবে মৃত্যুর হার কমল বাংলায়৷ 

 

গত মার্চ মাসে রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়৷ তবে থেকে এই প্রথম ২ শতাংশেরও নীচে নামল মৃত্যুর হার৷ গত ২৮ অগাস্ট প্রথম এ রাজ্যে মৃত্যুর হার ২ শতাংশের নীচে পৌঁছয়৷ বর্তমানে রাজ্যে কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১.৯ শতাংশ৷ যা সারা দেশে মৃত্যুর হারের (১.৭%) চেয়ে সামান্য বেশি৷ সোমবারও রাজ্যে মৃত্যুর হার ছিল অপরিবর্তনীয় (১.৯%)৷   

আরও পড়ুন- প্রণব-প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ঢাকুরিয়া, এখান থেকেই তৈরি হয়েছিল বাংলার রাজনীতির রোডম্যাপ

 

তবে এর আগে রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি যে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন এক সরকারি আধিকারিক৷ মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর হার পৌঁছেছিল ৯.১ শতাংশে৷ মে মাসের পর থেকে মৃত্যুর হার কিছুটা কমতে শুরু করলেও পরিস্থিতি ছিল একই রকম উদ্বেগজনক৷ সারা দেশের গড় মৃত্যুর হারের তুলনায় বাংলায় মৃত্যুর হার ছিল বেশি৷ ৩১ মে বাংলায় মৃত্যুর হার কিছুটা কমে ৫.৭ শতাংশে দাঁড়ায়৷ জুনের শেষে পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি ঘটে এবং মৃত্যুর হার কমে দাঁড়ায় ৩.৫ শতাংশ৷ জুলাই মাসে বাংলায় মৃত্যর হার ৩ শতাংশেরও নীচে নেমে যায়৷ মাসের শেষে মৃত্যুর হার পৌঁছয় ২.২ শতাংশে৷ অগাস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে ২৫, ২৬ এবং ২৭ তারিখে রাজ্যে মৃত্যুর হার ছিল ২ শতাংশ৷ কিন্তু ২৮ অগাস্ট তা ২ শতাংশেরও নীচে নেমে যায়৷ এই মুহূর্তে বাংলায় মৃত্যুর হার ১.৯ শতাংশ৷ 

আরও পড়ুন- ফ্রিতে করোনা পরীক্ষা করাতে বিপুল আগ্রহ জনতার

 

পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুর হার বাড়তে থাকায় রাজ্যকে একাধিক চিঠি পাঠায় কেন্দ্র৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটিও গঠন করা হয়৷ আরএন টেগোর ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সের পরামর্শদাতা অরিন্দম বিশ্বাস মনে করেন, রাজ্যে মৃত্যুর হার কমার জন্য মূলক তিনটি কারণ দায়ী৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রথমত, চার মাস আগের তুলনায় মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন৷ অনেক বেশি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে৷ দ্বিতীয়ত,  মৃদু আক্রান্ত হোক বা গুরুতর, সকলেই যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসা করাতে চাইছেন৷ ফলে মৃত্যুর হার অনেকটাই কমছে৷ তৃতীয়ত হল, সম্ভবত আগের চেয়ে অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে এই মারন ভাইরাস৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *