নিজস্ব প্রতিনিধি, বোলপুর: ফের গর্ভগৃহৈ ঢুকে তারা মার পুজো দিতে পারবেন ভক্তবৃন্দ। বীরভূমের মহাপীঠ তারাপীঠ বরাবরই ভক্ত ও পূণ্যার্থীদের কাছে এক আলাদা মাহাত্ম্য রাখে। রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ তারা মার দর্শনে আসেন। এখানকার অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা তারার জাগ্রত হওয়া নিয়ে কোনও সংশয় নেই ভক্তদের হৃদয়ে। এই নিয়ে বিভিন্ন কাহিনীও প্রচলিত রয়েছে। ফলে মাকে পুজো দিতে নিত্যদিন ভক্তদের ঢল নামে মন্দিরে। গর্ভগৃহে ঢুকে মায়ের চরণ ছুঁয়ে তাঁরা আশীর্বাদ নিয়ে ব্যাকুল মন শান্ত করেন।
মহাশ্মশান সংলগ্ন এই মন্দির সাধনার পীঠস্থান হিসেবেও কম গুরুত্ব রাখে না। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ রাখা হয় মন্দির। এরপর সরকারি নির্দেশিকা মেনে খুলে যায় তারাপীঠ মন্দির। কিন্তু বীরভূম জেলাসহ রাজ্যজুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ১ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট অর্থাৎ কৌশিকী অমাবস্যা পর্যন্ত তারাপীঠ মন্দির বন্ধ ছিল। ভক্তরা উদগ্রীব হতে থাকেন মায়ের দর্শনের জন্য। ফের মন্দির কমিটি বৈঠকে বসে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্দির খোলার। সেই মত ২৪ শে আগস্ট থেকে মন্দির খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। সরকারি বিধি নিষেধ মেনে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্দিরে প্রবেশ করলেও মা তারার গর্ভগৃহে প্রবেশ করে পুজো দিতে পারবেন না ভক্তবৃন্দ। আলতা সিঁদুর মা তারার চরণে ঢালা যাবে না।
এদিকে ভক্তদের অনুরোধ আসতেই থাকে। ফের সিদ্ধান্ত বদল করে মন্দির কমিটি। এরপরই তারাপীঠ মন্দির কমিটি ও তারামাতা সেবায়েত সংঘ সিদ্ধান্ত নেয় মা তারার গর্ভগৃহে ভক্তরা প্রবেশ করে পুজো দিতে পারবেন। তবে পুরোহিত ও ভক্তদের মানতে হবে সরকারি বিধি নিষেধ। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই মন্দিরের গর্ভগৃহে চলবে পুজোপাঠ ও দর্শন। এই সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া ভক্তমহলে।