লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম, প্রশ্ন শুনে সাংবাদিককে জোড় ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম, প্রশ্ন শুনে সাংবাদিককে জোড় ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

 

কলকাতা:  করোনা আবহে অগ্নিমূল্য বাজার দর৷ গত কয়েক দিন ধরে বাংলার বাজারে চড়া দামে বিকোচ্ছে আলু৷ জ্যোতি আলু কেজি প্রতি ৩৪ টাকা৷ চন্দ্রমুখী আরও বেশি৷ আলুতে হাত দিলেই ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত বাঙালিকে৷ হেঁশেল সামলানো এখন বড় ঝক্কি৷ এই পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে আলুর দর নিয়ে প্রশ্ন করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জোড় ধমক খেলেন এক সাংবাদিক৷

 

আরও পড়ুন- ISL খেলবে ইস্টবেঙ্গল, নবান্নে জট কাটালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী

এদিকে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আইএসএল খেলতে তৈরি ইস্টবেঙ্গল৷ বিখ্যাত সংস্থা ‘শ্রী সিমেন্ট’ যুক্ত হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই লাল-হলুদ শিবির এবং ‘শ্রী সিমেন্টে’র আধিকারিকদের তরফে এই ঘোষণা করা হয়। এদিন এই বিষয়টি নবান্নের বৈঠকে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ওই বৈঠকেই আলুর দাম নিয়ে প্রশ্ন করাতে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সাফ জানিয়ে দেন, ‘এই সব বিষয়ে’ আজকে কোনও রকম আলোচনা করবেন না তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, জিএসটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল৷ তাই সেই বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন৷ কিন্তু আলু নিয়ে কোনও কথা বলবেন না৷ অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকলে প্রশ্ন করতে পারেন, তার উত্তর দেব৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থান দেখে বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, বাংলার বাজার যে ভাবে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এখনও গুরুত্বপূর্ণ নয়? ইস্টবেঙ্গলের সমস্যার তুলনায় কি অগ্নিমূল্য বাজার সমস্যা কি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লঘু? তাই কি তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে এগেল?   

জিএসটি যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না৷ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আইএসএল খেলতে চলেছে এই ঘটনাটিও নিশ্চিতভাবেই উল্লেখযোগ্য৷ তবে এই সমস্ত ইস্যুর ভারেই কি একেবারে চাপা পড়ে গেল আমআদমির সমস্যা? প্রশ্ন তুলছে চড়া দামে আলু কিনতে যাওয়া ভুক্তভোগী জনতা৷ যে মুখ্যমন্ত্রী জীবন ও জীবিকার কথা বলেন, তিনিই হেলায় এড়িয়ে গেলেন সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা? আলুর দাম নিয়ে প্রশ্ন করতেই চোখে মুখে বিরক্তি ভাব, সিঁদুরে মেঘে দেখতে শুরু করেছেন  ভুক্তভোগী  জনতার একাংশ৷

আরও পড়ুন- পানীয়ের গ্লাস ঠুকে বলুন ‘চিয়ার্স’! অবশেষে খুলে গেল শহরের পানশালা


 

শুধু আলু নয়, প্রতিটি সবজির দামই আকাশ ছোঁয়া৷ যার জেরে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ৷ সাত দিনের মধ্যে আলুর দাম কমানো না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ২২ টাকা রাখার আবেদন জানিয়েছিল নবান্ন। যাতে ২৫ টাকা দরে আলু কিনতে পারে সাধারণ মানুষ৷ কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। তাই রাজ্যজুড়ে আলুর বেআইনি কারবার রোধে বৃহস্পতিবার বিশেষ অভিযানে নামছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *