২০০০ টন ইলিশের আগমন শহরে, বাজারে পড়ল মাছের দাম

কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী অ্যাসোসিয়েশনের সচিব বিজন মাইতি জানাচ্ছেন, এবার ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে দেরি করে, বর্ষার একেবারে শেষে। দেরি হলেও সমস্যা নেই, কারণ আশা করা যাচ্ছে আগামী দিনে এর থেকেও বেশি ইলিশ ধরা পড়বে।    

কলকাতা: বাজারে শাকসবজির এখন আগুন দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় আলু এখন ৩৫ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। দাম বেড়েছে ডিমেরও। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে কমল মাছের দাম। এর কারণ আর কিছুই নয়, বাজারে এসেছে ইলিশ। হুগলি নদী এবং বঙ্গোপসাগরের সঙ্গমস্থলে এই মরসুমের সবথেকে বেশি মাছ ধরা পড়েছে মঙ্গলবার। যার ফলে ইলিশের দাম তো কমেছেই, সঙ্গে অন্যান্য মাছেরও দাম পড়েছে কিছু কিছু করে। 

৬০০ টাকায় বিক্রি হওয়া ভেটকি বুধবার ৫০০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হল শহরের বাজারে। ৩৫০ টাকা কেজি দরের কাতলার দামও প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে বলে খবর। যার জন্য এই মূল্যহ্রাস সেই ইলিশের দামও ২০০ টাকা মতো কমেছে। মৎস্যপ্রেমী বাঙালির মনে তাই কিছুটা হলেও আনন্দ। ‘মৎস্য মারিব খাইব সুখে’ না হলেও মৎস্য কিনিব খাইব সুখে তো বলাই যায়। আলু, ডিমের ক্রমবর্ধমান দামের সময়ে মাছের দাম কমা সত্যিই তাই সুখবর। 

মঙ্গলবার, কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীরা প্রায় ২০০০ টম ইলিশ ধরতে সক্ষম হয়েছে। সেই ইলিশ এখন কলকাতার বাজারগুলোয় বিক্রি হচ্ছে। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম আগে ছিল ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকায়। এখন তার দাম ১১০০-১২০০ টাকা। ১ কেজি থেকে ১.২ কিলোর ইলিশের এখন দাম ১৪০০ টাকার আশেপাশে। দু’দিন আগেও তা বিকোচ্ছিল ১৭০০ টাকা দরে। দেড় কিলোর বেশি ওজনের ‘বনেদী ইলিশ’ এখন খুব বেশি হলে ২০০০ টাক কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। আগে তা ২৫০০ হাজারের আশেপাশে। 

অন্যবারের তুলনায় এবার ‘খোকা ইলিশ’ কম চোখে পড়ছে। যা পাওয়া যাচ্ছে তার সাইজ বড়র দিকেই। মৎস্যজীবীদের মতে, লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল মাছ ধরার কাজ। তাই ছোট ইলিশ এবার বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী অ্যাসোসিয়েশনের সচিব বিজন মাইতি জানাচ্ছেন, এবার ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে দেরি করে, বর্ষার একেবারে শেষে। দেরি হলেও সমস্যা নেই, কারণ আশা করা যাচ্ছে আগামী দিনে এর থেকেও বেশি ইলিশ ধরা পড়বে।        
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − six =