কর্মীর মুখে এলাকার ‘অনুন্নয়নে’র কথা শুনে ফের গেলে লাল অনুব্রত

 এলাকার সমস্যার কথা দলীয় কর্মীদের লিখিত আকারে জমা দিতে বলেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি । লিখিত পেলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিনিধিনি, বোলপুর:  দু’দিন আগেই বীরভূমের পুরন্দরপুরে বুথ ভিত্তিক সভায় এলাকার অনুন্নয়নেযর চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝিগ্রামের বুথ সভাপতি গণেশ রায়। বৃহস্পতিবার ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল সেই পুরন্দরপুরের  সভাতেই। 

এদিনও মাইক হাতে এলাকার দুর্দশার কথা তুলে ধরতে গিয়ে জেলা সভাপতির রোষানলে পড়লেন এক দলীয় যুবকর্মী। রাগের কারণটা অবশ্য নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন অনুব্রত বাবু। মাইক হাতে এভাবে দলের কাজের দোষত্রুটি তুলে ধরলে মিডিয়ার প্রচারে সুবিধা হবে। পরে নিজেকে সংযত করে সুর নরম করেন জেলা সভাপতি। সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেন এলাকায় যা সমস্যা রয়েছে লিখিত আকারে জমা দিতে। লিখিত পেলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

 

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলার মানুষের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা তৃণমূল। সেই উদ্দেশ্যে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আহ্বানে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর দুমাস ব্যাপী জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বুথ ভিত্তিক কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছে।  প্রথম কর্মী সভা ছিল বুধবার সিউড়ি দু'নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুর বান্ধব সমিতির মাঠে। এদিন দমদমা, কেন্দুয়া এবং পুরন্দরপুর এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বুথের কর্মীদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে শৌচালয়ের বেহাল দশা এমনই একের পর এক সমস্যার কথা শুনতে গিয়ে সেদিন বার বার বাম আমলের দুর্দশার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন অনুব্রতবাবু। মেজাজ হারিয়ে তিনি বলেছিলেন, যতই দেওয়া হোক ততই কম পড়বে। এভাবে তিনি ভোট করতে পারবেন না বলেও উল্লেখ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *