বীরভূম: দুষ্কৃতী তাণ্ডবে অগ্নিগর্ভ হল এলাকা। পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর-বোমা, গাড়িতে আগুন, বাইক ভাঙচুর, জনতার ওপর যথেচ্ছ গুলি-বোমা। বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের বাবুইজোর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। অভিযোগ উন্মত্ত জনতার হাতে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর হয়। এলাকার উন্নয়নের দাবি জানাতে যাওয়া জনতার উপর বোমাগুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। পাল্টা অভিযোগ ওঠে এও। ঘটনায় গুরুতর জখম হন এক গ্রামবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি বিজেপির মদতে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। অন্যদিকে বিজেপি সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বলে এলাকার অনুন্নয়ন এবং তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেই এই সংঘর্ষ। পুলিশ জানিয়েছে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
একটি সূত্রের দাবি হরিওকতারা গ্রামের উন্নয়নের ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন ছিলেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান। রাস্তাঘাট পানীয় জল সরকারি আবাসন প্রকল্পের বাড়ি সবকিছুতেই ওই এলাকার বাসিন্দারা বঞ্চিত হন বলে অভিযোগ। সেই দাবি জানাতে গিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয় অভিযোগ। অফিসের কাগজপত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু বাইক। একটি চার চাকার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি নিরীহ জনতার ওপর দুষ্কৃতীরা বোমা-গুলি নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। সেই ঘটনায় একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী। দুষ্কৃতীদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি করা হচ্ছে। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস তথা জেলা পরিষদের সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে কিছু দুষ্কৃতী পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। বিরোধী দল বিজেপির মদতেই এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের অনুমান। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক।
বিজেপির জেলা সভাপতি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, এলাকার অনুন্নয়ন এবং টাকা-পয়সার ভাগ-বাটোয়ারার গন্ডগোল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক দিন থেকেই তার প্রমাণ এই সমস্ত ঘটনা। বিজেপি কোন ভাবেই এই নোংরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। নিজেদের পিঠ বাঁচাতে বিজেপির নামকরা হচ্ছে এখানে।