কলকাতা: বাদল অধিবেশনে সংসদে এবার প্রশ্নোত্তর পর্ব না থাকায় সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। গণতন্ত্রের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত বলে সরব হয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ৷ এদিকে সময় নেই বলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্নোত্তর পর্বের কোনও পাট রাখেননি অধিবেশনে, অভিযোগ বিরোধীদের৷ এই নিয়েই এবার সরব হয়েছেন এরাজ্যের বিরোধীরা৷ তাদের অভিযোগ, এটা আসলে তৃণমূলের দ্বিচারিতা!
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে লিখিত প্রশ্নের সুযোগ পাবেন সাংসদরা বাদল অধিবেশনে। কিন্তু তাতে খুশি নন ডেরেক। তিনি প্রশ্ন করেন মন্ত্রীরা কেন দাঁড়িয়ে উত্তর দেবেন না সাংসদদের প্রশ্নে। এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, তৃণমূল দু’দিনের বিধানসভা অধিবেশনে মানুষের প্রশ্ন শুনতে চায় না। সেই কারণে বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। জয়প্রকাশবাবু বলেন, যে বঙ্গে শুধু নিয়ম রক্ষার্থে অধিবেশন ডাকা হচ্ছে, যেহেতু নিয়ম আছে, প্রতি ছয় মাসে অধিবেশন বসাতে হবে। এই মুহূর্তে জ্বলন্ত বিষয় যেমন, আমফান ত্রাণে দুর্নীতি, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা, সেই নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও আলোচনা চায় না বলেই অভিযোগ বিজেপি নেতার৷ তাঁর মতে এটি তৃণমূলের দ্বিচারিতার উদাহরণ৷
সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যক্ষ জানাননি প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে না। তবে তাদের কাছেও এই খবর সূত্রের মাধ্যমে এসেছে বলে তিনি জানান৷ সুজনবাবু বলেন, ৮ তারিখ সর্বদলীয় বৈঠক করবেন অধ্যক্ষ৷ এদিকে বিতর্কের মুখে অবশ্য কোভিডের কথাই তুলে ধরছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মহামারীর জেরে খুব বেশি দিনের অধিবেশন করা সম্ভব না৷ সেই কারণে এবার আর প্রশ্ন-উত্তরের পালা রাখা গেল না৷
অধ্যক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভায় প্রবেশ করার আগে সবার অ্যান্টিজেন্ট টেস্ট করতে হবে। করোনা নেগেটিভ হলেই প্রবেশের অনুমতি মিলবে। বিধায়কদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ও নিজেদের নির্দিষ্টি স্থানে বসতে হবে। বয়স্করা প্রধান হলে ও নবীনরা গ্যালারিতে বসবেন বলে তিনি জানান। গাড়ি মূল চত্বরে আনা যাবে না৷ এবার কোনও অতিথি আসতে পারবেন না অধিবেশন দেখতে৷ জানিয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ৷ তবে, দু’দিনের অধিবেশনে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব থাকবে কি না, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি৷