ওয়াশিংটন: আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গোপনে মাটির তলায় পারমানবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে চিন৷ বেজিংয়ের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনল আমেরিকা৷ অনকেই মনে করছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই রিপোর্টে নতুন করে ঘৃতাহুতি পড়ল চিন-আমেরিকার দ্বন্দ্বে৷
কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য ইতিমধ্যেই চিনকে কাঠগড়ায় তুলেছে আমেরিকা৷ গত বছর ডিসেম্বর মাসে চিনের উহান প্রদেশে প্রথম মাথাচারা দেয় করোনা সংক্রমণ৷ কয়েক মাসের মধ্যে তা প্রায় গোটা বিশ্বকে গ্রাস করে ফেলে৷ দিন দিন খারাপ হচ্ছে আমেরিকার পরিস্থিতি৷ মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের৷ আক্রান্ত সাড়ে ছয় লক্ষ মানুষ৷ আমেরিকার অভিযোগ, জৈব মারণাস্ত্র হিসেবে করোনাভাইরাস তৈরি করেছে চিন৷ করোনা সংক্রমণ নিয়ে চিন তথ্য গোপন করার ফলেই সারা বিশ্বে মহামারি শুরু হয়েছে বলেও চিনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে আমেরিকা৷ এমনকী চিন ঘেঁষা অভিযোগ তুলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-কে অনুদান দেওয়া বন্ধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এবার চিনের বিরুদ্ধে আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনল আমেরিকা৷
ওয়াশিংটনের দাবি, ২০১৯ সালে বছরভর চিনের লপ নুর এলাকায় চুপিসারে মাটির নীচে পরীক্ষামূলকভাবে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বেজিং। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট বলছে, ‘‘চিন সারা বছর ধরে লপ নুর এলাকায় পারমাণবিক বিস্ফোরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর জন্য মাটির গভীরে খনন কার্য চালাচ্ছে তারা৷ ব্যবহার করা হচ্ছে বিস্ফোরক ধারণকারী চেম্বার৷ চিনের পারমাণবিক বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে৷’’ তবে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ দেওয়া হয়নি ওই রিপোর্টে।
কমপ্রিহেনসিভ টেস্ট ব্যান ট্রিটি অর্গানাইজেশ-এর এক মুখপাত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, গত বছর অগাস্ট মাস থেকে চিনের পাঁচটি সেন্সর স্টেশন থেকে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের দাবি, “নিয়ম মেনে পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে বেজিং। আমেরিকা সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ আনছে। চিন এ ব্যাপারে সবসময়ই দায়িত্বপূর্ণ আচরণ পালন করে এসেছে। আমেরিকা কোনও তথ্য ছাড়াই, ভিত্তিহীন ভাবে চিনের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছে৷’’