কাঁথি: শিক্ষক দিবস উপলক্ষে দলের তরফে আজ কোনও কর্মসূচি ছিল না৷ ছিল না কোনও নির্দেশ৷ কিন্তু নিজেদের মতো করেই ছোটোখাটো অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা। এই উদ্দেশে রাতারাতি মেদিনীপুরে গড়ে তোলা হয় ‘বিদ্যাসাগর স্মৃতি রক্ষা সমিতি’। এদিন স্থানীয় সভাঘরে সম্মানিত করা হয় বেশ কিছু শিক্ষককে৷ সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখেই পালিত হয় শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান৷
আরও পড়ুন- যুবশ্রী প্রকল্পে স্থায়ী চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে গণ চিঠি সংগঠনের
প্রসঙ্গত, রাতারাতি গড়ে ওঠা এই ‘বিদ্যাসাগর স্মৃতি রক্ষা সমিতি’-র সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি দিন কয়েক আগেই তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে৷ কিন্তু দু’দিনের মধ্যেই ফের পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে ফিরে আসেন তিনি৷ এর নেপথ্যে শুভেন্দু অধিকারীর হাত রয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের জল্পনা৷ এদিকে দলীয় কর্মসূচির বাইরে পৃথকভাবে শিক্ষক দিবস পালন করে কি কোনও বিশেষ বার্তা দিতে চাইলেন শুভেন্দুপন্থীরা, প্রশ্ন তুলেছে ওয়াকিবহাল মহল৷
চলতি বছর করোনা পরিস্থিতির জেরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানও ছিল সাদামাটা৷ দলীয় কর্মসূচির বাইরে গিয়েই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামারী। শিক্ষক দিবসেও একই ভাবে সক্রিয়তা দেখালেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন- অবশেষে মুক্তি, কিন্তু জীবন থেকে হারিয়ে গেল ১৫টা বছর!
২০১৯ সালের নভেম্বরে মাসে শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও ঝাড়গ্রাম জেলার সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ এর পর থেকেই সরকারি অনুষ্ঠান ও দলের সাংগঠিনক কার্যকলাপ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন শুভেন্দুবাবু৷ তিনি বিজেপি-তে যোগ দেবেন বলেও গুঞ্জন উঠেছিল৷ যদিও সেই গুজব উড়িয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন৷ তবে দীর্ঘ চার-পাঁচ মাস ধরে দলের সঙ্গে তাঁর যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা কারোরই নজর এড়ায়নি৷ গত কয়েক মাসে তৃণমূলের কোনও সভা-সমাবেশেও দেখা যায়নি তাঁকে৷ যদিও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মাঝে মুখ খোলেন শিশির অধিকারী। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, অধিকারী পরিবারের কেউ বেইমান নয়। তারা তৃণমূলের সঙ্গে আছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন ও থাকবেন। এক শ্রেণির মানুষ আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে৷