কলকাতা:বছরটা যে বেশ কিছুটা আলাদা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। করোনার ত্রাসে যখন সাধারণ মানুষ শশব্যস্ত, সেইসময় পাঁজিতেও জানান দিল ব্যতিক্রমের বার্তা। এমনিতে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রতিবছরই বিশ্বকর্মা পুজো রুটিনমাফিক পরে থাকে। কিন্তি এবার একইদিনে পরেছে মহালয়াও। ফলে কপালের ভাঁজ চওড়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের। একইদিনে দু দুটো বড় ইভেন্ট সামলানোর জন্য প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে পরিকল্পনা গোছানোর তোড়জোড় শুরু করেছে লালবাজার।
সম্ভবত আগামী সপ্তাহের মাঝ বরাবর একটি নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে কলকাতা পুলিশের হেড অফিস। ইতিমধ্যেই পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কথা বলা হয়েছে থানাগুলি এবং ট্রাফিক গার্ডের সঙ্গে। শয়ে শয়ে মানুষ ঘাটগুলিতে তর্পণের জন্য জমা হবেন মহালয়ার দিন। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ বাহিনী। এদিকে করোনার আবহে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা যে একটা বড় চ্যালেঞ্জ তা স্বীকার করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
লালবাজার সূত্রে খবর, হুগলি নদীতে তর্পণে লোকসংখ্যা কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। সময় নির্ধারিত করে তর্পণের পাশাপাশি ঘাট ভাগ করে তর্পণ করার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের আধিকারিকরা। তবে মানুষ বর্তমান পরিস্থিতির সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল এবং অধিকাংশ মানুষই যে বাড়ি থেকে বেরোবেন না তা তারা জানেন বলেও দাবি পুলিশকর্তাদের। পাশাপাশি তাঁরা যে প্রতিবারের মতই প্রস্তুত থাকবেন তা জানাতেও কসুর করেননি এক পুলিশকর্তা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ঘাটে একদল তর্পণ করার সময় অপেক্ষার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। একসঙ্গে কতজন মানুষ তর্পণ করবেন তাও নির্ধারিত করে দেওয়া হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মানুষের কাছে আবেদন জানিয়ে ঘোষণাও জারি থাকবে। বড় বড় ঘাটগুলিতে স্বেচ্ছাসেবীরা স্যানিটাইজার হাতে দাঁড়িয়ে থাকবেন। প্রতিবারের মত রাস্তাতে ট্রাফিক ডাইভারশনও থাকবে।
বিশ্বকর্মা পুজোর জন্যও উদ্যোক্তাদের প্রতি নির্দেশ জারি হয়েছে। সামাজিক বিধি বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। পুজো উপলক্ষে হওয়া অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। বয়স্ক ও শিশুদের ভিড় থেকে দূরে রাখতে জনগণের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে বলে দাবি পুলিশে।