নিজস্ব প্রতিনিধি, বোলপুর: আলুর দাম বৃদ্ধি এবং কৃষকদের দুর্দশার জন্য সরাসরি রাজ্যের শাসকদলকে দায়ী করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার তিনি বীরভূমের কীর্ণাহারে দলীয় কর্মসূচিতে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। পাশাপাশি সংসদ অধিবেশনে তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুললেন তিনি।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,” আলু হিমঘরে মজুত, কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে সেই ধান রাইস মিল বা সরকারের কাছে বিক্রি সবকিছুই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা করেন। তারা এখন দালাল হিসেবে কাজ করছে। দল থেকে খাদ্যমন্ত্রী সবাই এই বিষয়টি জানলেও পরিবর্তনের কোনো চেষ্টাই নেই। পাশাপাশি সংসদ অধিবেশন নিয়ে তাঁর দাবি, সময় কম থাকার জন্য প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকছে না। নিজেদের নাম প্রচারের জন্য এর বিরোধিতা করছেন তৃণমূল সাংসদরা। অথচ বিধানসভাতে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকছে না। যদি প্রয়োজন থাকে তাহলে বিধানসভায় কেন রাখা হচ্ছে না।
রাজ্যের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের প্রাপ্য বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ প্রদান করা হচ্ছে না। সেই অভিযোগে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে পালিত হল অবস্থান বিক্ষোভ। সারারাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন দলীয় নেতৃত্ব।
এদিন দুপুর দুটো নাগাদ বালুরঘাট বিডিও অফিসের সামনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন একঝাঁক তৃণমূল নেতাকর্মী। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেটর সুভাষ চাকী, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব খাঁ, বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কুসহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেটর সুভাষ চাকীর দাবি আগামী দিনে তারা আরও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন। সবমিলিয়ে আলু নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভ এবং পাল্টা শাসকদলের কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে দিনভর সরগরম থাকল রাজ্যের পরিস্থিতি।