ফের প্রদেশ কংগ্রেসের হাল ধরলেন অধীর, শেষ তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা

ফের প্রদেশ কংগ্রেসের হাল ধরলেন অধীর, শেষ তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা

496945e8949ddca3a616a3f65dd2e0a8

কলকাতা: যাবতীয় জল্পনা শেষ৷ প্রয়াত সোমেন মিত্রর জায়গায় প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷ আর সেই সঙ্গে রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোটেও ক্ষীণ সম্ভবনাটাও শেষ হয়ে গেল বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল৷

কিছুদিন আগেই প্রয়াত হন কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা সোমেন মিত্র৷  আর সেই সঙ্গে খালি হয়ে যায় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদটি। তারপরই শুরু হয় নতুন সভাপতিকে হবে তা নিয়ে জল্পনা৷ নাম উঠে আসে শুভঙ্কর সরকার, অমিতাভ চক্রবর্তীদের৷ যদিও, এর পাশাপাশি এদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে, সেই সঙ্গে প্রদীপ ভট্টাচার্যের নাম শোনা যায়। কিন্তু, সর্বজন গ্রাহ্য কোনও নেতাকে খুঁজে পাওয়া কার্যত কঠিন হয়ে পরে৷ এই পরিস্থিতে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার রাতে রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতির পদে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেই আবারও বসানো হয়৷

রাজ্য রাজনীতিতে মমতার তীব্র বিরোধী বলে পরিচিত অধীরবাবু। শুধু মুর্শিদাবাদের নয়, এখন গোটা রাজ্যেই কংগ্রেসের মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি৷ কংগ্রেসের সক্রিয় নেতা বা সর্বজনীন নেতা বলতে রাজ্যে যদি কাউকে বোঝানো হয়, তাহলে তিনি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তার জনপ্রিয়তা শুধু মুর্শিদাবাদে সীমাবদ্ধ নেই, রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে শাসকদলের বিরুদ্ধে যে কজন কংগ্রেস নেতাকে বার বার দেখা যায় তার মধ্যে অধীর চৌধুরী অন্যতম৷ রাজনৈতিক মহলের অনেকেই দাবি করছেন, একুশের ভোটের আগে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সভাপতি করার মধ্যে দিয়ে সোনিয়া গান্ধী কোনও বিশেষ বার্তা দিতে চাইছেন কিনা?

দিন কয়েক আগেই জয়েন এন্ট্রান্সের পরীক্ষার দিন বাতিল নিয়ে সোনিয়া গান্ধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন৷ শেষমেষ সুপ্রিম কোর্টে যান তাঁরা। যদিও তার কয়েক দিনের মধ্যেই অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে নিয়োগ করার মধ্যে দিয়ে কংগ্রেসের ওপর মহল থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়৷ যতই ওয়েবিনার করুক না কেন রাজ্যে কংগ্রেস যদি কখনও কোন দলের সঙ্গে জোটে যায় সেটি বামেদের সঙ্গেই যাবে তৃণমূলের সঙ্গে কখনোই নয়৷

বছর দু’য়েক আগে আচমকা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে আনেন রাহুল গান্ধী৷ যা নিয়ে শুরু হয় প্রবল জল্পনা শোনা যায় সোমেন মিত্রও সম্ভবত নাকি নিজেও ভাবেনি, তিনি আবার সভাপতির পদে আসবেন। তখন মনে করা হয় আসন্ন লোকসভা ভোটের কথা ভেবেই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির এটা ভোট কৌশল ছিল। কারণ রাজ্যে অধীর চৌধুরী সভাপতি থাকাকালীন তৃণমূলের সঙ্গে কোনভাবেই জোটে যেতে চাইনি কংগ্রেস। কারণ মমতা ব্যানার্জি তখন বিজেপি বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ ছিলেন। আবার ঠিক যখন বিধানসভা ভোটের বাদ্যি বাজতে চলেছে, ঠিক তখনই আবার পুনরায় অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সভাপতির পদে বসিয়ে দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্ব তাহলে কি অন্য বার্তা দিতে চাইছেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে৷ প্রশ্ন অনেক উত্তর খোঁজা এবার শুরু হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *