নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনারপুর: দলীয় সভায় মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর আগে বোলপুর ও হাওড়ায় চায়ের দোকান এবং বাজার বন্ধের জন্য সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী করেছিলেন তিনি। এবারও সেই একই সুরে শাসকদলের বিরুদ্ধে সোনারপুরের সভায় কারেন্ট অফ করে মাইক বন্ধ করার অভিযোগ তুললেন।
আর কয়েকটি মাত্র মাস পেরোলেই বছর শেষ। আর বছর শেষ মানেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি। তাই বসে থাকা নয় এখন থেকে নিজের নিজের ঘর সামলাতে ব্যস্ত রাজ্যের সব রাজনৈতিক দল। সক্রিয় হয়ে উঠেছে গেরুয়া বাহিনীও। দলের প্রচারে এলাকায় এলাকায় গ্রামে গঞ্জে পৌঁছে যাচ্ছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শাসকদলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাজ্যে আবার পরিবর্তনের স্লোগানকে সার্থক করাই তাদের উদ্দেশ্য বলে জানাচ্ছেন প্রতিটি জনসভা থেকে দলীয় সভা বা কর্মীসভায়। প্রতিটি সভায় তাই শাসকদলকে একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন দিলীপ ঘোষ। এবার তৃণমূল সরকারকে তালিবানের সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দলীয় নেত্রী রাধারানি নস্করের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এই কটাক্ষ করেন।
বিধানসভায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সবুজ দুর্গ ভেঙে গেরুয়া দুর্গ তৈরি করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তাই এই জেলায় বিজেপির সংগঠন মজবুত করতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং পূর্ব, মগরাহাট পূর্ব ও পশ্চিম, সাগর, পাথরপ্রতিমা, মন্দিরবাজার বিধানসভাগুলিতে বিজেপিতে যোগদান চলছে।
ফলে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই এই জেলায় সংগঠন বাড়ছে বলে দাবি বিজেপির। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার রূপনগর এলাকায় এদিন তাঁর চায়ে পে চর্চা সারলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি তাঁরা ভালো থাকলেও টিএমসি ভালো নেই। চিন্তায় আছে। এদিন দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে সভা থেকে কর্মীদের পরিবর্তনের ডাক দেন।