BREAKING: ‘আয়ুষ্মান প্রকল্প’ কেন চালু হয়নি বাংলায়? ৪ রাজ্যকে সুপ্রিম নোটিস

BREAKING: ‘আয়ুষ্মান প্রকল্প’ কেন চালু হয়নি বাংলায়? ৪ রাজ্যকে সুপ্রিম নোটিস

 

নয়াদিল্লি: বঙ্গ বিজেপির ভার্চুয়াল সভা থেকে গতকালই বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার কথা তোলেন। তিনি বলেন, দেশের দরিদ্র, বিশেষ করে বিপিএল তালিকাভুক্ত অংশের জন্য বিশেষ সাহায্যকারী এই স্বাস্থ্যবিমা পশ্চিমবঙ্গে চালু করতে দেননি মমতা। নাড্ডার এই বক্তব্যের পরের দিনই, বাংলা সহ মোট চারটি রাজ্যকে নোটিশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। এক পিটিশনের শুনানির পর কেন এই রাজ্যগুলিতে চালু হয়নি আয়ুষ্মান প্রকল্প তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বাংলা বাদে বাকি তিন রাজ্য হল ওড়িশা, তেলঙ্গনা এবং দিল্লি।

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে এই প্রকল্প নিয়ে প্রথম কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতের শুরু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বাংলা কেন্দ্রের এই প্রকল্পের সঙ্গে থাকবে না। এই সংক্রান্ত এক চিঠিও পাঠিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যে প্রকল্পের লেটারহেডে প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে পদ্মফুলের ছবি থাকে সেই প্রকল্প রাজ্য গ্রহণ করবে না। তাঁর আরও অভিযোগ, এই প্রকল্পে কেন্দ্র এবং রাজ্যের প্রদেয় অর্থের ভাগ ৬০-৪০। ৪০ শতাংশ অর্থ যদি রাজ্যই দেয় তবে, প্রকল্পে কেন্দ্রের নাম থাকা নিয়েও আপত্তি ছিল মমতার। তিনি এও অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে নকল করেই এই প্রকল্প বানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আয়ুষ্মান ভারত যোজনার অন্তর্গত প্রত্যেককে প্রতি বছর পাঁচ লক্ষ টাকার (ক্যাশলেস) জীবনবিমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পূর্বে এবং পরের খরচও কেন্দ্রের বহন করার কথা। মোট ৮৭৩৫টি হাসপাতালকে এই যোজনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যক্ষ্মা রোগীদের জন্য ছিল বিশেষ সুযোগ সুবিধা। তবু, এসব কিছুই রাজ্যবাসীদের পেতে দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলত সুপ্রিম কোর্টের কাছে অচিরেই জবাবদিহি করতে হবে তাঁর সরকারকে৷

যদিও বাংলায় এই প্রকল্প চালু না হলেও রয়েছে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা৷ রাজ্যের যুক্তি, আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা থেকেও অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে৷ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালুর বহু আগেই রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে বলেও সরকারের তরফে দাবি তোলা হয়৷ ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্য সরকার ১০০ শতাংশই অর্থ এই প্রকল্পে খরচ করে থাকে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মানে রাজ্যকে দিতে হয় ৬০ শতাংশ খরচ৷ রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে প্রায় ২ কোটি পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করেছে৷ বার্ষিক প্রতি পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা কভারেজ দেওয়া হয়৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − four =