চূড়ান্ত গাফিলতির নিদর্শন, প্রকাশ্যে পরে ব্যবহৃত পিপিই, অস্বস্তিতে পুরসভা

চূড়ান্ত গাফিলতির নিদর্শন, প্রকাশ্যে পরে ব্যবহৃত পিপিই, অস্বস্তিতে পুরসভা

ff09bfa37392fa11afc0f261b1541557

বারাসত: করোনার আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। দেশ তথা রাজ্যে রোজ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে স্বস্তি নেই মানুষের মনে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে বারবার সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু গাফিলতি যেন শেষ নেই। এক শ্রেণির মানুষের অসচেতনতা কোনওদিনই ঘোচার নয়।

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রকাশ্যে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা গেল ব্যবহৃত পিপিই কিট। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নবপল্লী এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলের কাছেই রয়েছে বারাসতের একটি ডায়গনস্টিক সেন্টার। শুক্রবার লকডাউনের সকালে এলাকার মানুষ নবপল্লী সার্কুলার রোডের ওপর বেশ কয়েকটি ব্যবহৃত পিপিই কিট পড়ে থাকতে দেখা যায়। দৃশ্য দেখেই আতঙ্কে শিউড়ে ওঠেন এলাকার মানুষ। সংক্রমণ ছড়ানোর আতঙ্কে এলাকা মানুষ চলাচল কমে যায়।

পুরসভার কর্মীরা জানান সকালে তারা পিপিইগুলিকে দেখে পুরসভার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানিয়েছেন। যদিও তাদের নিজেদের মধ্যে যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ প্রশ্ন করতেই তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে দোষারোপ করতে থাকেন। এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরে থাকা কিটগুলিকে নিয়ে অসন্তোষ ছড়ায় এলাকায়। অস্বস্তিতে থাকা এলাকাবাসী পুরসভাকে জানাতে থাকেন।

অবশেষে কিটগুলি সরানোর ব্যবস্থা করেন পুরসভার প্রশাসকমন্ডলী (স্বাস্থ্য)র দায়িত্বে থাকা প্রশাসক চম্পক দাস। তিনি সরাসরি বিষয়টির জন্য কাঠগড়ায় তোলেন নবপল্লীর ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে। চম্পক দাস সেন্টারটির বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তোলেন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনেই। ডায়গনস্টিক সেন্টারটির বিশেষ ক্লিনিক কিংবা সেখানকার এক চিকিৎসকের ব্যবহৃত কিটই এভাবে রাস্তায় পড়ে থেকেছে বলে ধারণা তাঁর। বিষয়টিতে বিশদ খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন চম্পকবাবু।

অতি সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী জানিয়েছিলেন উত্তর চব্বিশ পরগনায় কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে সচেতনতার অভাবে। তার অনতিবিলম্বে বারাসত হাসপাতালে প্রকাশ্যে পিপিই কিট পড়ে থাকায় চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই সরব হয়েছিলেন। তাতেও যে বিশেষ হুঁশ ফেরেনি অনেকেরই। বারাসতে নবপল্লীতে প্রকাশ্যে পিপিই কিট পরে থাকার ঘটনা সেরকম বার্তাই দিচ্ছে।।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *