কলকাতা: তিস্তার পানি না এসে ইলিশ যাবে কীভাবে? ইঙ্গিতটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন শেখ হাসিনার৷ এবার তিস্তার জল না পৌঁছলেও সীমান্ত দিয়ে বাংলার বাজারে আসতে চলেছে পদ্মার রুপোলি শস্যে ইলিশ৷ ভারতে ইলিশ পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে পুজোর আগেই এপার বাংলার আসতে চলেছে প্রায় দেড় হাজার টন পদ্মা ইলিশ৷
দীর্ঘ সাত বছরে তিস্তা দিয়ে বিস্তর জল গড়িয়েছে৷ জল-কূটনীতির জেরে ভারতে ইলিশ পাঠানোর উপর জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা৷ গত বর্ষার মরশুমে মাত্র ৫০০ টন ইলিশ ঢুকেছিল রাজ্যে৷ কিন্তু, এবার করোনা পরিস্থিতির জেরে জেরবার বাংলাদেশ৷ অর্থনীতিকে চাঙ্গা ককতে ভারতে ইলিশ পাঠানোর ছাড়পত্র দিতে চলেছে হাসিনার সরকার৷ আগামী এক মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে প্রায় ১৫ লক্ষ কেজি ইলিশ বাংলার বাজারে ঢুকতে চলেছে৷ পরিমাণটা কিন্তু নিতান্ত কম নয়৷
তবে, বাংলায় পদ্মার ইলিশ এলেও কত দাম হবে, এখন সঠিকভাবে বলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা৷ গত বছর যে মাছ এসেছিল, তার দর ছিল ওজন অনুযায়ী৷ কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা৷ তাও আবার পাইকারি দর৷ এবার বাংলাদেশের রপ্তানিকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে এদেশের আমদানিকারী সংস্থাগুলির চুক্তির উপর মাছের দাম নির্ভর করছে৷ আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার কেজি ইলিশ আসতে শুরু করবে বলে জানান গিয়েছে৷
পদ্মায় ইলিশের কমতি না থাকলেও গঙ্গা বা রূপনারায়ণের ইলিশ এখনও অধরা৷ মন খারাপ ডায়মন্ডহারবারেরও৷ কাকদ্বীপ, দীর্ঘায় বাজারে চাহিদা ও জোগানের বিস্তর ফারাক৷ রাজ্যের উল্টো চিত্র অবশ্য বাংলাদেশে৷ গত ২৩ জুলাই থেকে ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ৷ তার পরেই ইলিশ ধরার ধুম পড়েছে সেদেশে৷ জালে ধরা দিচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ৷ এবার সবচেয়ে বেশি ইলিশ উঠছে বলে খবর৷ ফলে ভারতে ইলিশের রফতানিতে ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ৷