১০ মাসের সন্তান কোলে শ্বশুরবাড়িতে ধরনা বধূর, খুলল না দরজা!

শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিষার বাসিন্দা লিলি ২০০৯ সালে চয়নপাড়ার প্রণবেশ চৌধুরিকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ করেছেন লিলি। মাঝে মধ্যেই তাঁকে জোর করে হাতিঘিষায় পাঠিয়ে দিত শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কিছু দিন আগে তাঁকে একইভাবে ফেরত পাঠানো হয় হাতিঘিষায়।

 

শিলিগুড়ি: শ্বশুরবাড়ি থেকে একাধিকবার বিতাড়িত হয়েছেন তিনি। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাঁর ওপর নির্যাতনও চলত রোজ। শ্বশুর বাড়ি ফিরতে চেয়ে দশ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে শ্বশুর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন অবশেষে৷ শিশুটি মাঝে মাঝেই খিদের চোটে কেঁদে উঠছে, তাকে সামলাচ্ছে মা। কিন্তু একবারের জন্যেও শ্বশুরবাড়ির তরফে খোলা হলনা দরজা। ঘটনাটি শিলিগুড়ির চয়নপাড়া এলাকার।

শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিষার বাসিন্দা লিলি ২০০৯ সালে চয়নপাড়ার প্রণবেশ চৌধুরিকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ করেছেন লিলি। মাঝে মধ্যেই তাঁকে জোর করে হাতিঘিষায় পাঠিয়ে দিত শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কিছু দিন আগে তাঁকে একইভাবে ফেরত পাঠানো হয় হাতিঘিষায়। এরপর আশিঘর আউটপোস্টে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন লিলি। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র না পাওয়ায় কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি পুলিশ। বাধ্য হয়ে ৯ সেপ্টেম্বর তিনি শ্বশুর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন।

ঘটনাস্থলে ভক্তিনগর থানার অধীন আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছায়। লিলির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। যদিও লিলি জানিয়েছেন, প্রণবেশ দুটো বিয়ে করেছিলেন আগেই। সে কথা লিলি এবং তাঁর পরিবারের কাছে গোপন করেই লিলির সঙ্গে বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছেন প্রণবেশ। পরে প্রণবেশের আগের দুটো বিয়ের কথা জানতে পারেন লিলি।

তবে লিলির অভিযোগ অনুযায়ী কেন তাঁকে মারধর করা হত সেকথা এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে লিলির সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন প্রণবেশের পরিবার। লিলি তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করাইয় পুলিশ তাঁদের আটক করেছিল। কিন্তু আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে। পাশপাশি জানা গিয়েছে, প্রণবেশ আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করবে শুনেই ধরনায় বসেছিলেন লিলি দেবী। যদিও এবিষয়ে লিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা কিছু বলতে চাননি। প্রাথমিক ভাবে সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *