গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর পর প্রসব না করিয়ে ‘রেফার’! তরুণীর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় ২ মেডিক্যাল কলেজ

গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর পর প্রসব না করিয়ে ‘রেফার’! তরুণীর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় ২ মেডিক্যাল কলেজ

 কলকাতা: ফের চূড়ান্ত অমানবিকতার নজির গড়ল শহর কলকাতার দুই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল৷ রেফার রোগে ফের আক্রান্ত বাংলা স্বাস্থ্যব্যবস্থা৷ গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর পরও প্রসব না করিয়ে রেফার করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ৷ গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর ৩দিন পর প্রসব করাতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু৷ আরজি কর হাসপাতালে বিরুদ্ধে প্রসব না করিয়ে রেফার করার অভিযোগ৷ ভর্তির তিনদিন পর করোনা আক্রান্ত তরুণীর প্রসব করিয়ে বিতর্কে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল৷

জানা গিয়েছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দমদমের বাসিন্দা ২১ বছরের এক তরুণীকে৷ তিনি সাড়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন৷ ওই তরুণীর শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন৷ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সময়ে৷ ৮ তারিখ করোনার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ মেলে৷ অভিযোগ, পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর রোগীকে রেফার করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আরজি কর হাসপাতাল৷ আর জিকর হাসপাতাল যেহেতু করোনা রোগীদের চিকিৎসা করে না, ফলে ওই তরুণীকে রেফার করা হয়৷ 

পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল ভর্তি থাকার সময় পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, ওই তরুণীর গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে৷ পরিবারের তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করা হয়, প্রসব করিয়ে গর্ভস্থ সন্তানকে যাতে বার করা হয়৷ অভিযোগ, রোগী পরিবারের সেই আরজি রাখেনি আরজি কর কর্তৃপক্ষ৷ পরে গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর পর করোনা আক্রান্ত প্রসূতিকে রেফার করে দেওয়া হয়৷

এরপর গত ৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই তরুণীকে৷ করা হয় ভর্তি৷ ৯ তারিখ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৩ দিন পর ওই তরুণীর অস্ত্রোপচার হয়৷ মেডিক্যাল কলেজে অস্ত্রোপচারের পর তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেন৷ গতকাল মৃত্য সন্তান প্রসব করা ২৪ ঘণ্টা পর আজ সকালে ওই তরুণী মৃত্যু হয়েছে কলকাতা মেডিকেল কলেজে৷

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দাবি, তাদের হাসপাতাল নন কোভিড৷ যদি কোনও রোগী শারীরিক অবস্থা গুরুতর অবনতি হলে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হয়৷ কিন্তু এই রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ অপারেশনে কেন অস্ত্রোপচার করা গেল না? প্রশ্ন তুলছে রোগীর পরিবার৷ অন্যদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের দাবি, ওই তরুণী যখন হাসপাতালে ভর্তি হন, ওই তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল না৷ পরে কিছুটা উন্নতি হলে অস্ত্রপ্রচার করানো হয়৷ কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই তরুণের মৃত্যু হয়েছে৷ কিন্তু, ভর্তির ৩ দিন পর কেন অস্ত্রোপচার? প্রশ্ন পরিবারের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × two =