নিজস্ব প্রতিনিধি, ক্যানিং: গোসাবায় সুন্দরবন কোস্টাল থানা ভাঙচুরের ঘটনায় সোমবার ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁরা এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলেই পরিচিত। রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের সুন্দরবন কোস্টাল থানার সামনে হঠাৎ ভিড় জমতে শুরু করে। অভিযোগ তাদের মধ্যে থেকেই হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী। থানার তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে থানা লক্ষ্য করে ইঁট পাথর ছুঁড়তে থাকে তারা। এরপর পুলিশ বাধা দিতে গেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। থানায় ঢুকে ভাঙচুরও চালায় দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের ইঁটের আঘাতে জখম হয় ৬ জন পুলিশ কর্মী। তাঁদের মধ্যে ১ জন মহিলা পুলিশ কর্মীও রয়েছেন।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বারুইপুর জেলার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশি তৎপরতায় এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। রবিবার থেকেই দুষ্কৃতীদের খোঁজে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এরপর সোমবার থানা ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধর ঘটনায় এলাকায় যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে ৭জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বারুইপুর জেলা পুলিশ ও সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত। এদিন তাদের আলিপুর কোর্টে তোলা হয়।
রাজনৈতিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে গত ১২ সেপ্টেম্বর তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুন্দরবন কোস্টাল থানা রাধানগর বাজার। তারপরদিন এই থানায় হামলা চালানোর ঘটনার সঙ্গে ওই ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের মদতেই এই উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক সঞ্জয় নায়েক।