প্রেম-অপহরণ-প্রতিহিংসায় খুন! বাড়িতে ঢুকে প্রৌঢ় দম্পতির মাথায় গুলি, অভিযুক্ত পগার পার

প্রেম-অপহরণ-প্রতিহিংসায় খুন! বাড়িতে ঢুকে প্রৌঢ় দম্পতির মাথায় গুলি, অভিযুক্ত পগার পার

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করা হল প্রৌঢ় দম্পতি। প্রেমের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই খুন বলে অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া টুনিঘাটা মন্ডল পাড়া এলাকার ঘটনা। মৃত দম্পতির নাম রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও লীলা মণ্ডল। অভিযোগের তির কাশীপুর কলতলা এলাকার বাসিন্দা তন্ময় বরের দিকে।

অভিযোগ রাত আড়াইটে নাগাদ নারকেল গাছে চড়ে ছাদ দিয়ে নেমে গ্রিলের দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে তন্ময়। আওয়াজ পেয়ে বাড়ির লোকেরা খোঁজাখুঁজি করার সময় গুলি করে রামকৃষ্ণবাবু ও লীলাদেবীকে খুন করে তন্ময়, অভিযোগ বাড়ির লোকেদের।
 

বাড়ির লোকেদের অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রামকৃষ্ণবাবুর ভাইয়ের মেয়েকে উত্যক্ত করতো তন্ময়। তাকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া অ্যাসিড বাড়ির দেওয়ালে লাগে বল অভিযোগ। এমনকি বারবার ওই মেয়েটিকে মোবাইলে বাড়ির লোকেদের মেরে ফেলার হুমকি দিত বলেও অভিযোগ পরিবারের।

একবার অপহরণ করে তাকে বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে ওই মেয়ে ও তার বাড়ির লোক। দীর্ঘদিন ওই মেয়েটিকে বাড়িতে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ফেরার পর তাদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জেল হয় তন্ময়ের। সেইসময় মেয়েটিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।

এরপরই তন্ময়ের অত্যাচার আরো বেড়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে চোর সন্দেহে খোঁজাখুঁজি করতে গেলে প্রথমে লীলাদেবীকে পরে রামকৃষ্ণবাবুকে গুলি করা হয়। লীলাদেবীর মাথায় এবং রামকৃষ্ণবাবুর বুকে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই মারা যান লীলাদেবী। রামকৃষ্ণবাবুকে প্রথমে হাবড়া হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বারাসত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাবড়া থানার পুলিশ। খুনের ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।  মূল অভিযুক্ত তন্ময় বর পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে লোকালয়ে এভাবে গুলি করে খুনের ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ, এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − four =