বোলপুর: পৌষমেলা নিয়ে উত্তপ্ত বিশ্বভারতীর আন্দলনকারিরা কয়েকদিন আগে মেলার মাঠের পশ্চিম দরজা এবং কংক্রিটের স্তম্ভ ভেঙে দিয়েছিলেন। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের চার বিচারপতি কমিটি গড়ে ঘটনার বিচারপর্বের কাজ শুরু করে৷ রবিবার ওই চার সদস্যের কমিটি শান্তিনিকেতন পর্যবেক্ষণে আসেন৷ তারপরেই ভাঙা দরজা পুনর্গঠনের নির্দেশ দেয় কমিটি। এক্ষেত্রে কমিটি নির্দেশ দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনকে মিলিত ভাবে আগামী ৭ দিনের মধ্যে এই কাজ করতে হবে।
বিশ্বভারতী পাঁচিলকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি নায়ার রাধাকৃষ্ণণের নির্দেশে গঠিত হয় চার সদস্যের বিশেষ কমিটি৷ এই কমিটির নেতৃত্ব ভার বর্তায় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর৷ কমিটিতে তাঁর পাশাপাশি রয়েছেন, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। রবিবার তাঁদের নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসন ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে এক্ষেত্রে গুরুত্ব বুঝে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে বলা হয় হাইকোর্টের ৪ বিচারপতির কমিটি তরফে। উল্লেখ্য, এই নির্দেশ মেনে প্রথমবারের জন্য বিশ্বভারতীর কর্মসচিব ও জেলাশাসক যৌথভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। হাইকোর্টের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ৪ সদস্যের ওই কমিটি কথা বলবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌষমেলার মাঠের পশ্চিম দিকের স্থায়ী গেট ভেঙে দেওয়ার ফলে ওই এলাকায় স্থায়ী শৌচাগার থেকে লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি চুরি গিয়েছে। এখনও একাধিক মূল্যবান সামগ্রী সেখানে রয়েছে, যা রক্ষা করার জন্য রাজ্য এবং জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সেই অনুরোধ খতিয়ে দেখে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে।