কলকাতা: বাংলায় আল-কয়দা৷ ধৃতদের জেরা করে মুর্শিদাবাদে আরও ২ জঙ্গির খোঁজ পেলেন এনআইএর আধিকারিকরা৷ সূত্রের খবর, সন্ধান পাওয়া জঙ্গিদের মধ্যে একজনের নাম আনসারি৷ সেও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা৷ আনসারির খোঁজ শুরু হয়েছেন আধিকারিকরা৷ অন্যদিকে, রাজনীতিবিদ সহ ১৫ থেকে ২০ জনের হিট লিস্টের তৈরি পেয়েছেন গোয়েন্দারা৷
মুর্শিদাবাদে ধৃতদেরকে জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন আধিকারিকরা৷ আনসারি আল-কায়েদার অন্যতম শীর্ষ সদস্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা৷ ‘গজবাওয়া-এ-তুল হিন্দ’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও সন্ধান পেয়েছেন আধিকারিকরা৷ নিজেদের মধ্যে ওই জঙ্গিরা যোগাযোগ রাখত বলে খবর৷ তাতে আনসারির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ৷ আনসারি ছাড়াও এই গ্রুপের আরও এক সদস্য নাম পাওয়া গিয়েছে৷ তাদের মধ্যে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাঙ্কেতিক ভাষায় কথা হত বলে জানতে পারেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা৷ সেগুলির অর্থ উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা দিচ্ছেন তদন্তকারীরা৷ ধৃতদের ফোনে কাশ্মীরের একাধিক ছবিও তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর৷
দেশের কোনও মেট্রো শহরে বিস্ফোরণ ঘটানোর লক্ষ্য ছিল এই আল-কায়দা সদস্যদের৷ রাজনীতিবিদ সহ ১৫-২০ জনের হিট লিস্টও তৈরি হয়েছিল বলে খবর৷ অপারেশনের ব্লুপ্রিন্ট বানাতে ডোমকলে বৈঠক হয়েছিল বলেও জানতে পারেছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকরা৷ গোয়েন্দাদের দাবি, মডিউলের মাথা মুর্শিদ হাসানের নির্দেশে ডাকা হয়েছিল৷ধৃতরা ছাড়াও হাজির হয়েছিল আরও ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল৷ বৈঠকে একটি একে ৪৭ রাইফেল ও নাইন এমএম পিস্তল আমদানি নিয়েও চর্চা হয়েছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর৷ স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রটি বাংলাদেশ চোরাপথে আনার পরিকল্পনা ছিল বলে অনুমান এনআইএর৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বৈঠকে দলের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছিল৷ লক্ষ্য ছিল দিল্লি ও কাশ্মীর, খবর গোয়েন্দা সূত্রে৷
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারতে সংগঠন বিস্তারে আল কায়েদার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলা৷ রাজ্যে নিজেদের প্রচারকে উচ্চতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল জঙ্গি সংগঠন৷ সেই সূত্রে ‘জঙ্গি পোর্টাল’ তৈরি ভাবনাও ছিল৷ মডিউলের মাথা মুর্শিদ রাজমিস্ত্রি৷ মগজধোলাই করে সংগঠনে নিয়ে আসাই তার অন্যতম কাজ৷ ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রচারে ছিল গুরুত্ব৷ পাকিস্তান থেকে পোর্টাল তৈরির নির্দেশ এসে থাকতে পারে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের৷ বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার-সহ সমাজের বিশিষ্টদের টানার পরিকল্পনা ছিল তাদের, খবর গোয়েন্দা সূত্রে৷