অনুব্রত’র দুর্গে সক্রিয় মাওবাদী সংগঠন? পারুইয়ে পোস্টার উদ্ধারে আতঙ্ক

লাল কালিতে হাতে লেখা কিছু নামের পাশে কালো কালি দিয়ে কাটা চিহ্ন রয়েছে। নীচে লেখা মাওবাদী। এই পোস্টার ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে বীরভূমের কিছু এলাকায়।

নিজস্ব প্রতিনিধি, বোলপুর:  রাজ্যে কি ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে মাওবাদী সংগঠনগুলি? সম্প্রতি জঙ্গলমহলে বেশ কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ-প্রশাসনকে এবিষয়ে  বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরমধ্যেই বুধবার সকালে বীরভূম জেলার পারুই থানার অন্তর্গত, হাঁসরা, গোলাপবাগ সহ আশেপাশের এলাকায় কিছু পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকাবাসীর সন্দেহ সেগুলি মাওবাদী পোস্টার। পোস্টারে লাল কালিতে হাতে লেখা কিছু নামের পাশে কালো কালি দিয়ে কাটা চিহ্ন রয়েছে। নীচে লেখা ‘মাওবাদী’! পোস্টার ঘিরে রীতিমতো আতঙ্কে  রয়েছেন গ্রামবাসী। গ্রামের একটি বাড়ির দেওয়ালে এইধরণের একটি পোস্টার দেখে ওই  পোস্টারটিকে ছিঁড়ে ফেলা হয়। কিন্তু কে বা কারা এইধরণের পোস্টার সেঁটে দিয়ে গেল তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে এলাকার মানুষ সহ পুলিশ প্রশাসন৷

প্রসঙ্গত, গত আগস্ট থেকেই ইঙ্গিত মিলছে মাওবাদী কার্যকলাপের। যেমন ১৫ অগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের ভুলাভেদা জঙ্গল সংলগ্ন কয়েকটি গ্রাম থেকে বেশ কিছু হাতে–লেখা মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হয়৷ পোস্টারগুলিতে স্বাধীনতা দিবসকে ‘‌কালা দিবস’‌ হিসেবে উদ্‌যাপন করতে বলা হয়েছিল সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর ফের বেলপাহাড়ি এলাকা থেকে  উদ্ধার হয় হাতে লেখা কিছু পোস্টার।

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এগুলি সাজানো ঘটনা। মাওবাদীরা যে নতুন করে জোট বাঁধছে তা ভুয়ো খবর। তবে তাঁর নির্দেশিকা মেনে মাওবাদী কার্যকলাপের বিষয়ে সজাগ পুলিশ প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে গত ৫ সেপ্টেম্বর বেলপাহাড়ি–সহ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেন পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি বীরেন্দ্র। ঝাড়গ্রামে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকও করেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন এডিজি পশ্চিমাঞ্চল, আইজি বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার, ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিস সুপার (অপারেশনস), বাঁকুড়ার এসপি ও বেলপাহাড়ির ডিএসপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *