সফল হয়েও মেলেনি রেজিস্ট্রেশন, নবান্নে দরজায় ধর্না বিক্ষুব্ধ নার্সিং স্টাফদের

সফল হয়েও মেলেনি রেজিস্ট্রেশন, নবান্নে দরজায় ধর্না বিক্ষুব্ধ নার্সিং স্টাফদের

 

কলকাতা:  নার্সিং স্টাফদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গড়িমশি করছে রাজ্য সরকার৷ যা নিয়ে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে নার্সিং স্টাফদের মধ্যে৷ এদিন রেজিস্ট্রেশনের দাবিতে নবান্নে ডেপুটেশন জমা দিলেন তাঁরা৷
নার্সিং স্টাফদের মূল অভিযোগ রেজিস্ট্রেশন পাওয়া নিয়েই৷ অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই ২০১৭ সালে পাশ করা এই নার্সিং স্টাফদের রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছে না ডব্লিউবিএনসি৷  এদিন নবান্নে ডেপুটেশন দিতে আসা এক নার্স বলেন, ‘‘আমি ২০১৭ সালে পাশ করেছি৷ তিন বছর কেটে যাওয়ার পরও রেজিস্ট্রেশন পাইনি৷ স্বাস্থ্যভবন, পূর্ত ভবন থেকে কালিঘাটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় নথিও আমরা জামা করেছি৷ কিন্তু এর পরেও সমস্যার সুরাহা হয়নি৷’’

আরও পড়ুন- শনিবার পর্যন্ত ব্যপক বৃষ্টিতে ভাসতে পারে ৫ জেলা, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে

 

কিন্তু কেন দেওয়া হচ্ছে না এই রেজিস্ট্রেশন? এর জবাবে ওই নার্স বলেন, ‘‘আমরা যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছি, সেখানকার মার্ক  প্যাটার্ন গ্রহণ করছে না ডব্লিউবিএনসি৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ৪০ শতাংশ পেলেই থিওরিতে পাশ করা যায়৷ যেখানে ৭৫ এর মধ্যে ৩৭ নম্বর পেয়েছেন তিনি৷ কিন্তু ডব্লিউবিএনসি বলছে ৭৫-এর মধ্যে ৩৮ পেতে হবে৷’’ 

 

এছাড়াও ডব্লিউবিএনসি’র তরফে বলা হয়, এই নার্সিং স্টাফদের কলেজ যেহেতু আইএনসি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং তারাও আইএনসি’র নিয়ম মেনে চলে, তাই আইএনসি’র অনুমোদন নিয়ে আসতে হবে তাঁদের৷ সেই মতো আইএনসি’র চিঠিও জমা করেন নার্সিং স্টাফরা৷ তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি৷ তাঁদের আরও অভিযোগ, একই মার্কস প্যাটার্নে ২০১৯ সালে কর্ণাটক নার্সিং কাউন্সিল এবং রাজীব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত কলেজ থেকে নার্সিং পাশ করার পর কিছু প্রার্থী রেজিস্ট্রেশন পেয়ে গিয়েছেন এবং তাঁরা সরকারি চাকরিও করছেন৷ 

আরও পড়ুন- পুজোর আগেই বাংলায় ভার্চুয়াল ঘাঁটি শাহ-নাড্ডার! তৈরি নয়া কৌশল

 

ইতিমধ্যে বেশ কিছু ফোন কলও পেয়েছেন আন্দোলনরত এই নার্সিং স্টাফরা৷ তাঁদের বলা হচ্ছে সরকারের বিরোধিতা করবেন না৷ তাঁরা জানান, নিজেদের সমস্যা নিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁরা৷ তিনি মুখের উপরেই না করে দিয়েছেন৷ বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই মার্কস প্যাটার্ন নিয়ে ২০১৯ সালে পাশ করা প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হলেও, এখনও দফতরে দফতরে ঘুরে বেরাচ্ছেন ২০১৭ সালে পাশ করা প্রার্থীরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − eighteen =