সিউড়ি: বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ সমস্যা৷ মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কর্মীসভায় বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগ করেন এক কর্মী৷ তিনি জানান তাঁর এলাকা মল্লরপুরের মানুষ লোডশেডিংয়ে নাজেহাল৷ তিনি আরও বলেন, সিপিএম আমলে যে কথা শুনতে হত, সে কথা এখন তৃণমূলকে শুনতে হচ্ছে৷ এর উত্তরে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, পশ্চিম বাংলায় লোডশেটিং হয় না৷ তবে অভিযোগ শুনেই তৎক্ষনাৎ ফোন করেন বিদ্যুৎকর্তাকে৷ ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণ জানতে চেয়ে জোড় ধমক দেন তাঁকে৷
আরও পড়ুন- ছকে দিলেন দুর্গোসবের গাইডলাইন, দরাজ হস্তে দান পুজো কমিটিগুলিকে
মঞ্চে বসেই এদিন বিদ্যুৎ কর্তাকে ফোন করেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা৷ তিনি বলেন, বাম আমলে লোডশেডিং হত৷ আমাদের আমলে তো লোডশেডিং নেই৷ তাহলে কেন এত লোডশেডিং হচ্ছে? আর যেন লোডশেডিং-এর খবর না পাই, এই বলেও হুঁশিয়ার করে দেন তিনি৷ এর পরেই তিনি সোজা ফোন করেন বিদ্যুৎমনত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়কে৷ অনুব্রতবাবু জানান, মল্লরপুরে সভা করতে এসে তিনি জানতে পেরেছেন গত তিন মাস ধরে এই এলকায় ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে৷ এই এলাকায় যে আধিকারিক আছেন তাঁকে বিষয়টি জানানোর জন্য শোভনবাবুকে অনুরোধও করেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ‘আমি কি গান গাইতে এসেছি?’ পুজো কমিটির বৈঠকে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মমতা
তবে শুধু বীরভূম নয়৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ তবে লোডশেডিংয়ে একেবারে জেরবার বীরভূমের মল্লারপুরের মানুষ৷ গত তিন মাস ধরেই এই সমস্যা চলছে৷ কিছুদিন আগে জানা গিয়েছিল মল্লরপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লোডশেডিংয়ের উৎপাতে টর্চ কিংবা আলো জ্বালিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের৷ পরিস্থিতি এমনই যে ভর্তি হওয়ার সময় রোগীদেরও সঙ্গে টর্চ লাইট রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷