পুজোয় রাতভর ঠাকুর দেখতে চান? মানতে হবে এই নিময়! পুজোর গাইডলাইন রাজ্যের

পুজোয় রাতভর ঠাকুর দেখতে চান? মানতে হবে এই নিময়! পুজোর গাইডলাইন রাজ্যের

কলকাতা: বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো৷ কিন্তু, করোনা আবহে সেই উৎসবে যাতে কোনও প্রভাব না পরে, তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপের ঘোষণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ইতিমধ্যেই পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি৷ দিয়েছেন বেশ কিছু সতর্কবার্তা৷ এবার মুখ্যমন্ত্রী তরফে সেই সর্তকতা জারি করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে পুজো কমিটিগুলির জন্য নয়া গাইডলাইন বেধে দিল রাজ্য সরকার৷

আজ পুজো গাইডলাইন প্রকাশ করে রাজ্য সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনার কথা মাথায় রেখে খোলামেলা মণ্ডপ তৈরি করতে হবে৷ মণ্ডপের প্রবেশ ও প্রস্থানে জায়গা আলাদা আলাদা করতে হবে৷ প্রত্যেক দর্শনার্থীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে৷ একই সঙ্গে স্যানিটাইজার ব্যবহারের দেওয়া হয়েছে গুরুত্ব৷ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অযথা ভিড় এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ পুজো প্যান্ডেলের সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে ভলেন্টিয়ার ও পুলিশ সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ পুজো মণ্ডপের কাছে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য৷পুজোর উদ্বোধন ও বিসর্জনে রাখতে হবে কম সংখ্যক সদস্য৷ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে যথাযথ ব্যবস্থা পুজো কমিটিকে নিতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ সে ক্ষেত্রে পুলিশ সর্বদা তাদেরকে সহযোগিতা করে বলে জানানো হয়েছে৷

চার পাতার গাইডলাইনে ১১টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে৷ সেখানে জানানো হয়েছে, খোলামেলা প্যান্ডেল করতে হবে৷ প্রবেশ-প্রস্থান আলাদা আলাদা করতে হবে৷ প্যান্ডেল হপিংয়ের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ যাদের মাস্ক থাকবে না, তাদেরকে মাক্স পরতে বাধ্য করানো হবে৷ প্যান্ডেলে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা পুজো কমিটি হলে কি করতে হবে৷ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য পুলিশ পদক্ষেপ করবে৷ পুজো প্যান্ডেলের পাশে কোন রকম অনুষ্ঠান মঞ্চ করা যাবে না? পুজো কমিটিগুলিকে পুরস্কার দেওয়ার অনুষ্ঠান ১০টা থেকে ৩টের মধ্যে করতে হবে৷

এছাড়াও পুজো সংক্রান্ত অনুমতির জন্য সমস্ত কিছুই এবার হবে অনলাইনে৷ মুখ্যমন্ত্রী আগেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, এবারে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পুজোর আয়োজন করতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের৷ বিজ্ঞাপনও আসছে না ঠিকমতো৷ আর সেই কারণে পুজো কমিটিগুলিকে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জানিয়েছিলেন, বিদ্যুতের বিলে মিলবে ৫০ শতাংশ ছাড়৷ প্রশাসনের তরফে কোনও রকম বাড়তি ফি নেওয়া হবে না৷ একইসঙ্গে পুজো কমিটিকে সরকারি ভাবে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর আজ সরকারিভাবে গাইডলাইন প্রকাশ করল রাজ্য সরকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 4 =